রবিবার , ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

স্ত্রী-ছেলে-মেয়েসহ এখনো নিখোঁজ কনস্টেবল, উদ্ধার অভিযান বন্ধ

প্রকাশিত হয়েছে -

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে পুলিশ কনস্টেবল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনো আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও নৌ-থানা পুলিশ। তবে রাত হওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল এনে আবার উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫)। এছাড়াও শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল ও অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী এবং নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।

নৌকাডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের বাড়ি কুমিল্লা জেলায় বলে জানা গেছে। তার চাচতো ভাই লিমন হোসাইন বলেন, এ দুর্ঘটনায় আমার কাজিন স্ত্রী-ছেলে-মেয়েসহ নিখোঁজ হয়েছে।

Advertisements

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ভ্রমণ ট্রলারের ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ২০ জন ডুবে যান। এদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। ডুবে যাওয়া নৌকায় প্রায় ২০ জন ছিলেন শুনেছি। একাধিক নৌপুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।