শনিবার , ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধে মারধর, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুর সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১মার্চ) উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের চরশেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন (৩৫)।

আনোয়ার হোসেন একই এলাকার ইউছুব আলী ওরফে হাসর আলীর ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের মৃত তৈজ উদ্দিন হাজীর ছেলে মো: হযরত আলী (৫০), মৃত তৈজ উদ্দিন হাজীর ছেলে মিনি মিয়া (৪৮), হাতেম আলীর ছেলে মো: দেলোয়ার হোসেন (৪০), মো: হযরত আলীর স্ত্রী ছবেদা বেগম (৪৩), হযরত আলীর মেয়ে রুখসানা বেগম (২৫), তিশা বেগম ও আশা খাতুন (১৯)।

Advertisements

অভিযোগ সূত্র অনুযায়ী ও মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন জানায়, আমাদের ভোগদখলকৃত জমিতে প্রতিপক্ষরা মরিচের চাষ করেন। এতে আমরা বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা সংঘবদ্ধ হয়ে লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তারা আমার মাথায় কোপ দিলে হাত দিয়ে ফেরাতে গিয়ে আমার হাত কেটে যায়। আমার ছোট ভাইকেও তারা ব্যপক মারধর করে। পরে আমার অসুস্থ মা এগিয়ে গেলে তাকেও মাথায় দা’ দিয়ে কোপ দেয়। এতে সে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তারা আমার বৃদ্ধ বাবাকেও মারধর করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার হোসেনের ভাই মনির হোসেন বাবু বলেন, তারা লোকজন বেশি। এর আগেও আমাদের অনেকবার মারধর করেছে, যা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন। শুক্রবারেও আমাদের দুইভাই ও আম্মাকে মারধরের পর আমার বোনদেরকেও এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করে। এবং একপর্যায়ে তাদের শরীরে থাকা গহনাও ছিনিয়ে নেয়। ওরা শুধু আমাদের মারধরই করেনি, আমরা আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে বাড়িতে গেলে ওরা আমাদের পিছু ধাওয়া করে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে টিনগুলো নিয়ে যান।

অভিযুক্ত হযরত আলী জানান, জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বিরোধপূর্ণ জমিটি তাদের পারিবারিক। এ নিয়ে অনেকবার বসা হলেও পরবর্তীতে তারা ফের ঝগড়া বিবাদ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বিষয়টির সুরাহার আশা করছি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।