মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশনের কম্বল বিতরণ

প্রকাশিত হয়েছে -

শীত জেঁকে বসে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলার হালগড়া গ্রামে।ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় নাকাল নিম্ন আয়ের মানুষ।প্রতিবারের ন্যায় এবারও এসব অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

১লা জানুয়ারী সোমবার বিকালে শ্রীবরদী উপজেলার হালগড়া গ্রামে শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়। রক্তসৈনিক এর পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু ও অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর চেয়াম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া।
কম্বর বিতরণ কালে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বলেন প্রতি বছর শীতের সময় নানা কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি। এই শীতেও আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা রয়েছে তবে বছরে প্রথম দিনে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের প্রত্যেকের সমাজ তথা দেশের মানুষের প্রতি দায়-দায়িত্ব রয়েছে । আপনি আমি একা ভালো থাকবো আর প্রতিবেশী শীতে কষ্টে দিন কাটাবে এটা সুস্থ চিন্তার কথা নয়। মানুষ হিসেবে আসুন আমরা সবাই মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
এ সময় রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালাক মোঃ আল আমিন রাজু, রক্তসৈনিক ঢাকা জেলার সভাপতি এ.বি.এম মায়নুল হাসান রাসেল, রক্তসৈনিক শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, রক্তসৈনিক শ্রীবরদী এর ম্যানেজমেন্ট সমন্বয়ক মোঃ সানজিমুল ইসলাম শাহীন, কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি জাকির হোসেন, ভেলুয়া ইউনিয়ন এর সভাপতি কাওছার আহমেদ,সহ রক্তসৈনিক শেরপুর এর কার্যকরী সদস্য তানকিন তুহিন, শ্রীবরদী উপজেলা শাখার কার্যকরী সদস্য রাশেদ মিয়া, মনির মিয়া, ঝিনাইগাতি এর কার্যকরী সদস্য রিমঝিম রিমি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তি সহ রক্তসৈনিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কম্বল পেয়ে জমিলা বেগম(৮০) বলেন, ‘আমি ভিক্ষা করি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছ থেকে যা পায় তাই নিয়ে চাল, ডাল কিনে কোনোমতে চলে’।‘এই শীতে একমাত্র সম্বল তাদের দেওয়া কম্বল’।

Advertisements

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো দুস্থ ও শীতার্তদের সহায়তা করতে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর সদস্যদের চাঁদা ও উপদেষ্টা মন্ডলীদের সহযোগিতা থেকে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করেন।

সংগৃহীত শীতবস্ত্রগুলো রাজধানীসহ শীতপ্রবণ জেলা গুলোতে তাদের স্বাধ্যমতো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হয়।