সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নালিতাবাড়ীতে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়ার পর রাজমিস্ত্রী শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত হয়েছে -

শেপেুরের নালিতাবাড়ীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অপরাধী না পেয়ে ফিরে আসতে থাকে পুলিশ। তবে পথিমধ্যে সন্দেহভাজন দুইজনকে দাড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় তারা। এর কিছুক্ষণ পরই একজনের মরদেহ পড়ে থাকে রাস্তার ধারে। পরিবারের দাবী অনুযায়ী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন বকুল মিয়া নামে মধ্যবয়সী ওই রাজমিস্ত্রী শ্রমিক। কিন্তু এই রহস্যজহনক মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ঝাঙ্গালিয়াকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বকুলের এ মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ঝাঙ্গালিয়াকান্দা গ্রামর জনৈক রমেজ এর বাড়িতে গাঁজা বিক্রি চলে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রমেজ এর বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা একই গ্রামের বকুল মিয়া ও জিন্নত আলীকে পুলিশ সন্দেহ করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বকুল মিয়া অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত অছিমদ্দিনের ছেলে বলে জানতে পেরে উভয়কেই ছেড়ে দেয়। রমেজের বাড়িতে গিয়েও কোন আলামত না পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ফিরে আসে। এর কিছুক্ষণ পর রাত আনুমানিক নয়টার দিকে ওই রাস্তায় বকুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে বকুলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

Advertisements

এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় ঘটনা তদন্তে আসেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম ও সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল দিদারুল ইসলাম।

এদিকে, মৃতের পরিবারের লোকজন জানায়, বকুল আগে থেকেই অসুস্থ্য ছিলেন। রমেজ উদ্দিন বকুলের মামা হন। বকুল তার মামা রমেজকে পাকা ধান কেটে দেওয়ার পারিশ্রমিক দিতে ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সবার অজান্তে তিনি মারা যান। তবে কি কারণে মারা গেছেন তা তারা জানতে পারেননি।

তবে পুলিশ বলছে, ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতাজনিত কারণেই বকুল মারা যেতে পারেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।