সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

যুদ্ধবিরতি চেয়ে নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

প্রকাশিত হয়েছে -

হামাসের হামলা রুখতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে ও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে শত শত ইসরায়েলি। এ সময় তারা হামাসের কাছে বন্দি ইসরায়েলিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান।

গত মাসের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস। সেই হামলা রুখতে ব্যর্থ হয় নেতানিয়াহু প্রশাসন। ফলে তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার (৪ নভেম্বর) জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করে ইসরায়েলিরা।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শনিবার শত শত বিক্ষোভকারী ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে হাজির হয়। এ সময় তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদের বিক্ষোভে বাধা দেয়।

Advertisements

এছাড়া একই দিনে বাণিজ্যিক নগরী তেল আবিবেও হামাসের হাতে বন্দিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার ইসরায়েলি। সে সময় বিক্ষোভকারীরা পতাকা নেড়ে ও হামাসের হাতে বন্দিদের ছবি প্রদর্শন করেন। অনেকে ‘যে কোনো মূল্যে বন্দিদের মুক্ত করো’লেখাসহ নানা দাবি সম্বলিত পোস্টার নিয়ে হাজির হন।

শনিবারের বিক্ষোভগুলো এমন সময়ে হলো যখন এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তিন চতুর্থাংশেরও বেশি ইসরায়েলি নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান। রয়টার্স বলছে, ওই সমীক্ষার ফলাফল ইসরায়েলের বর্তমান নেতৃত্ব ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ওপর জনগণের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের বিষয়টি সামনে এনেছে।

শনিবার ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ টেলিভিশনের প্রকাশিত ওই জরিপে দেখা গেছে, ৭৬ শতাংশ ইসরায়েলি মনে করেন নেতানিয়াহুর এখনই পদত্যাগ করা উচিত ও ৬৪ শতাংশ বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অবিলম্বে ইসরায়েলে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।

এদিকে, হামাসের হামলার জন্য কে সবচেয়ে বেশি দায়ী- এমন প্রশ্নের উত্তরে ৪৪ শতাংশ ইসরায়েলি নেতানিয়াহুকেই দায়ী করেছেন। তাছাড়া ৩৩ শতাংশ ইসরায়েলের সামরিক প্রধান ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন। আর ৫ শতাংশ ইসরায়েলি দায়ী করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে।

সূত্র: রয়টার্স