মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনা: ৪ বছর আগে অনুমতি হারায় ঘাতক বাসটি

প্রকাশিত হয়েছে -


ময়মনসিংহের ত্রিশালে গার্মেন্টসকর্মীদের বহনকারী রাসেল স্পিনিং মিলের বাসটি সড়কে চলাচলের অনুমতি হারিয়েছে চার বছর আগে। তবুও ফিটনেসবিহীন বাসটি সড়কে নিয়মিত দিব্যি চলাচল করছিল। যাত্রী উঠানোর প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে এ বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায় ছয়জন। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর উদাসীনতাকে দায়ী করছেন মানুষ।

রাব্বি-সেতু নামের (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-১০০৪) রাসেল স্পিনিং মিলের বাসটি প্রতিদিন গার্মেন্টসকর্মীদের বহন করতো। পাশাপাশি সুযোগে ভাড়ায় যাত্রীও বহন করতো বাসটি। বাসটির মালিক টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মুসিন্দা গ্রামের মো. আবু হানিফ শিকদার। বাসটি সড়কে চলাচলের অনুমতি হারিয়েছে ২০১৯ সালের ১ জুন। আর ফিটনেস হারিয়েছে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি।

ফিটনেসবিহীন গাড়িটির মালিকানা এখনো আবু হানিফ শিকদারের নামে। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, অন্তত চার বছর আগে বাসটি ঢাকার একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ফিটনেস না থাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। বাসটির চাপায় ছয়জনের মৃত্যুতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

Advertisements

বিআরটিএ ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) এএসএম ওয়াজেদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থলে কাজ করছি। দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত হতে কাজ চলছে। গাড়ির রোড পারমিট বা অন্যান্য কাগজপত্র ছিল কিনা যাচাই করা হয়নি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তবুও সড়কে চললে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাস্টিবোর্ড থেকে প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।