শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

‘আ’লীগের মুক্তিযোদ্ধারা থিয়েটার ট্রেনিংপ্রাপ্ত’

প্রকাশিত হয়েছে -

আওয়ামীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যারা এখন মুক্তিযুদ্ধা পরিচয় দেন তারা হচ্ছে থিয়েটার ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগকে গালি দিতে পারলে ভালো লাগতো, তবে দেব না। আওয়ামী লীগের এক নেতার মন্তব্যের ইস্যুতে এমন কথা বলেন তিনি।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “গণতন্ত্র ও উন্নয়নে তারেক রহমান” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ইতিহাস মুছে দেয়া যায় না। আসলে ইতিহাস মুছে দিতে চেষ্টাও করা উচিৎ নয়। পাঠ্যপুস্তক থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগের কাউকেই জিয়াউর রহমানকে চেনা উচিৎ নয়। চিনলে অনেক কিছুই মেনে নিতে হবে।

Advertisements

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দেশে এত ভালো ভালো রাজনৈতিক দল আছে তার মধ্যে একটা মিথ্যাবাদী দলও থাকা উচিৎ। উনি যদি গালি দিয়েও বলতেন তাও হতো। কিন্তু চিনি না বলাটা অন্যকিছু বহন করে।

আব্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের অনেকেই চট করে কলককাতা থিয়েটার রোড়ে পালিয়ে গেছে। আরো পালিয়েছেন অন্য যায়গায়। যখন জিয়াউর রহমান সাহেব স্বাধীনতা ঘোষণা দিলেন তখন যুদ্ধের জন্য আমাদের অনেকেই প্রস্তুতি নিলেন। আমাদের বিএনপিতে যত মুক্তিযোদ্ধা আছে আওয়ামী লীগে তত মুক্তিযোদ্ধা নেই। আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধারা থিয়েটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সরকার তারেক রহমানককে ভয় পেয়ে যা করছেন তা ঠিক নয়। তারেক রহমানকে সরকার ভয় পান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার করার জন্য আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করে আব্বাস বলেন, দেশের জনগণের জন্যই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। আর জনগণ ও নিজেদের প্রয়োজনে তারেককে দেশে আনবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে যত দুর্নীতি হয়েছে তার অর্ধেকেই করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। তাহলে বলবো আপনারা দুর্নীতি বন্ধ করে দেন। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের টেক্স বৃদ্ধি করেছেন, বিদ্যুতের দামসহ সব কিছু বৃদ্ধি করেছেন। মামুলি করতে করতে কত বেশী বাড়িয়েছেন। এত সত্যে কথা বললো উনি রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি করে। তবে করে, তা আওয়ামী লীগের লোকেরা। বিএনপির কেউ দুর্নীতি করে না। আর যদি পান তথ্য প্রমাণসহ দেখাবেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির জনসমাগম দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন বিএনপি নির্বাচনে আসবেন লাইসেন্স বাঁচাতে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে আমাদের নেত্রীর কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আসেন পাশাপাশি সমাবেশের ডাক দেন দেখেন কার জনপ্রিয় বেশী। এই সরকারে অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মির্জা আব্বাস।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের অপসারণ ছাড়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখন বাংলাদেশে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনাই হবে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা তৈরি তাদেরকে রাস্তায় নামিয়ে আনতে হবে। রাস্তায় গেলে ঘরে ফিরতে পারব তার নিশ্চয়তা নেই। সেই কারণেই আওয়ামী লীগ চায় যেন কর্মীরা রাস্তায় না আসতে পারে।

একটা ব্যাংকও ঠিক আছে এমন প্রশ্ন রেখে সামসুজ্জামান দুদু বলেন, সকল ব্যাংক লুটপাটের শিকার। ইটিভিসহ অনেক চ্যানেল দখলে নিয়েছে সরকার। চ্যানেল ওয়ানে তারেক রহমানের একটু নাম ছিল তাই এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া ইসলামি টিভিসহ অনেক চ্যানেল বন্ধ করেছে সরকার।