সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শিশুদের মাত্র ১ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহারের নিয়ম

প্রকাশিত হয়েছে -

স্মার্টফোন শিশুদের মনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তার সঙ্গে প্রভাব পড়ছে চোখ, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর উপরেও। বাচ্চাদের এই আসক্তি কমাতে অভিভাবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রচুর। শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব নয়, শরীরেও মোবাইলের খারাপ প্রভাব পড়ে। কিন্তু মোবাইলে খেলা, ভিডিও দেখার সময় অতি সত্বর শিশুমনে আনন্দ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হলেও কল্পনাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই সব সমস্যা মারাত্মক প্রকট হয়ে উঠছে।

টিভি, মোবাইল গেম বা যে কোনও ধরনের ভার্চুয়াল এন্টারটেনমেন্ট দেখার সময়ে আমাদের মস্তিষ্কের কোষ থেকে ক্ষরণ হয় এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার, যার নাম ডোপামিন। এই ডোপামিনের ক্ষরণ আমাদের মনে এক ভালো লাগার অনুভূতি সঞ্চার করে। তার ফলে অতি সহজেই আমরা এই ধরনের এন্টারটেনমেন্ট মিডিয়ামগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়ি। তাই এবার শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়া নিয়মের পথে হাঁটছে এই দেশ।

কী হতে চলেছে সেখানে? দেখা গিয়েছে, স্মার্টফোনের কারণে শিশুদের ঘুম কমছে, তাদের প্রতিবর্তন ক্রিয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে না। তাই এবার শিশুদের হাত থেকে স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়ার পথে হাঁটছে চীন। কোন নিয়ম জারি হচ্ছে সেখানে?

Advertisements

এর মধ্যে চীনের সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে এই নিয়মের প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকেরই মত, এটি প্রস্তাবাকারেই থেমে যাবে না। আগামী দিনে চীনে শিশুদের জন্য এমনই নিয়ম আসতে চলেছে। কেমন সেই নিয়ম?

বলা হয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাদের জন্য দিনে স্মার্টফোন বরাদ্দ হবে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য। এর বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করলেই কড়া শাস্তি হতে পারে। যাদের বয়স ৮ বছর থেকে ১৫ বছরের মধ্যে তাদের জন্য সময়টা আরও কম। মাত্র ১ ঘণ্টা। তার বাইরে নিষেধাজ্ঞা স্মার্টফোন ব্যবহারে। আর যাদের বয়স ৮ বছরের কম? তাদের জন্য সময়সীমা দিন প্রতি ৪০ মিনিট। এর বেশি ব্যবহার করার অনুমতি নেই।

তবে এখানেই শেষ নয়। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে না ১৮ বছরের কম বয়সিরা। রাতের ওই সময়টুকু বাদ দিয়েই বের করতে হবে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়।