শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে স্কুল শিক্ষিকার ঝাঁপ

প্রকাশিত হয়েছে -


শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে মাহেরা আহমেদ বিথী (২৭) নামের এক স্কুল শিক্ষিকা ঝাঁপ দিয়েছেন। শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর-জামালপুর সেতুর কাছাকাছি জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও বিথীর খোঁজ পাননি।

মাহেরা আহমেদ বিথী (২৭) জামালপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়ার মৃত শফিউদ্দীন আহমেদ শাহিনের মেয়ে ও নান্দিনার জাহিদ আনোয়ার লিটন (৩৫) এর স্ত্রী। সে জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।

স্কুল শিক্ষিকা বিথীর ছোট ভাই রোহান আহমেদ (২৫) কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আপু দোকানে যাবে বলে নামাজের পর বাসা হতে বের হয়। পরে আমরা ফোনে খবর পাই, নদের পানিতে আপু ঝাঁপ দিয়েছে। নদের পাড়ে আপুর হাতব্যাগ, জুতা ও মোবাইল ফোন রেখে ঝাঁপ দেন বলে আমাদের এখানকার লোকজন বলেছে। আমার বোনকে এখনো পাচ্ছি না। ডুবুরি দল খুঁজতেছে।

Advertisements

রোহান আরও বলেন, স্থানীয় মাঝিরা তাদেরকে জানিয়েছেন আপু নদের পাড়ে এসে অনেকক্ষণ মোবাইলে কথাবার্তা বলেছেন এবং ঘুরাঘুরি করেছেন।

বিথীর প্রতিবেশী দেওয়ান পাড়ার কয়েকজনের সাথে কথা হয়। তারা বলেন, পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত কারণে এমনটি হতে পারে।

শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামারুজ্জামানের সাথে ঘটনাস্থলে কথা হয়। তিনি বলেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে একজন নারী ঝাঁপ দিয়েছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এসেছি৷ পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, মাহেরা আহমেদ বিথী নামে একজন স্কুল শিক্ষিকা ব্যাগ ও মোবাইল ফোন রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। তার পরিবারের লোকজন এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তল্লাশি করেছে।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, চার সদস্যের আমাদের একটি দল স্কুল শিক্ষিকা বিথীকে খুঁযেছে। রাত হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে তল্লাশি অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ প্রায় ৫ ঘন্টা আমাদের তল্লাশি অভিযান চলে।