সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আলোকচিত্রী শাহরিয়ার রিপনের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী

প্রকাশিত হয়েছে -

আলোকচিত্রী এস.এ শাহরিয়ার রিপনের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী মঙ্গলবার (৪ জুলাই)। ২০২০ সালের এইদিনে বিরল রক্তের রোগ সিসটেমিক মাসটোসাইটোসিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তিনি ছিলেন দেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা টুগেদার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী।

১৯৬৮ সালে শেরপুর জেলা শহরের নতুন বাজার এলাকায় তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।বাবা মরহুম আমিনুল ইসলাম ছিলেন দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী। তিনি ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার তৎকালীন জামালপুর মহকুমার ইপিসিএস অর্জনকারী ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ ৫০ বছর আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। মা সেলিমা ইসলাম রাইফেল শুটিংয়ে এক সময়ের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। বাবা-মার ষষ্ঠ সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। স্ত্রী তানজিন ফেরদৌস গৃহিণী। সামিহা ফেরদৌস ও আরিক আহমেদ শাহরিয়ার নামে তার দুই সন্তান রয়েছে।

মেধা ও সৃজনশীলতায় শেরপুরের একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন আলোকচিত্রী এস.এ শাহরিয়ার রিপন। তিনি ছিলেন দেশের আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন সফল আলোকচিত্রী, সংগঠক এবং লেখক। এই শিল্পী নব্বই দশকের শুরুতে আলোকচিত্র শিল্পে নিজেকে নিয়জিত করেন এবং পরবর্তীতে বেগার্ট ইন্সটিটিউট অফ
ফটোগ্রাফী থেকে ডিপ্লোমা ইন ফটোগ্রাফি সম্পন্ন করেন।আজীবন সদস্য এস এ শাহরিয়ার রিপন বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য হিসাবে বিভিন্ন মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। সেই সময় বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির নিউজ লেটার সহ বিভিন্ন প্রকাশনায় তার অবদান অনস্বীকার্য। দেশে ও বিদেশে তার একাধিক একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার তোলা ছবি এবং লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisements

আলোকচিত্রী এস.এ শাহরিয়ার রিপনের তোলা অনেক ছবি দেশে ও বিদেশে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনি আশির দশকে শেরপুরে লেখালেখি ও সাংবাদিকতার সঙ্গে  জড়িত ছিলেন। একজন মানবিক মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন সবার প্রিয়।বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে তিনি যেমন এগিয়ে আসেতেন, তেমন নিঃস্বার্থভাবে তাদের সহযোগিতাও করতেন। তিনি ঢাকাস্থ শেরপুর সদর উপজেলা সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।