রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শুক্রবারের বিশেষ মুহূর্ত, যখন দোআ করলে আল্লাহ তাআ’লা ফিরিয়ে দেন না

প্রকাশিত হয়েছে -

এ এম আব্দুল ওয়াদুদ

শুক্রবার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন  কোন বান্দা আল্লাহ তাআ’লা কাছে কোন প্রার্থনা  করে আল্লাহ তাআ’লা তা ফিরিয়ে দেন না।

জুমআর দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলমান নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোআ কবুল করবেন এবং এরপর রাস‍ুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’(বুখারি)
কোন মুহূর্তে দোআ কবুল হয় সেটা নিয়ে সাহাবী ও তাবেয়ীগন বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন।অধিকাংশ আলেমের মতে শুক্রবারের দিন সূর্যাস্তের পূর্বের মুহূর্ত দোআ কবুলের সময়।

Advertisements

আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়।
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)
আবু দারদা ইবনে আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্তটি সম্পর্কে বলেছেন, ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৯)

জুমআর দিনের বিশেষ তিনটি আমল রয়েছে। একটি হলো কুরআনুল কারিমের ১৮নং সুরা ‘সুরা কাহাফ’ তেলাওয়াত করা এবং দ্বিতীয়টি হলো আসর থেকে মাগরিবের মধ্যে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছোট্ট একটি দরূদ পড়া। আর শেষটি হলো আসর-মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা।

দোআ কবুলের সময়টি পুরোদিনের ভেতর লুকিয়ে আছে। পুরোপুরি নির্ধারিত না করার উদ্দেশ্য হলো, বান্দা যেন জুমার দিন সর্বদা ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়ায় মশগুল থাকে। আল্লাহ তাআ’লা আমাদের ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন।

লেখকঃশিক্ষার্থী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।