সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বৈশা বিলে লাল পদ্মর সমাহার

প্রকাশিত হয়েছে -

বৈশা বিলে বাতাসে দোল খাচ্ছে পদ্মফুলের পাপড়ি। প্রকৃতি যে এত অপরূপে সেজেছে তা যেন না দেখলে কারো বিশ্বাসই হবে না। পানির ওপর ভেসে থাকা এসব পদ্মফুলের মহাসমারোহ দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বৈশা বিলে দর্শনার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, শ্রীবরদী পৌর শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরেই বৈশা বিল। এই বিলের পরিধি প্রায় ছয় হেক্টর। আগে বর্ষাকালে এখানে দু-একটা পদ্মফুল দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছর থেকে প্রাকৃতিকভাবেই বাড়ছে এর বিস্তৃতি। এবার বর্ষায় বিলের প্রায় দুই হেক্টর জমির জলাশয়ে ফুটেছে সাদা আর গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্ম ফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন নৈসর্গিক মনোমুগ্ধকর পদ্ম ফুলের মহাসমারোহ। প্রতিদিন এই পদ্ম ফুল দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। বিলে আসা দর্শনার্থীরা নৌকা দিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছেন মনোমুগ্ধকর পদ্ম ফুলের স্বর্ণালি সমারোহ। দর্শনার্থীদের মধ্যে শিশু কিশোর ও যুবকদের সংখ্যাই বেশি। এখানে এসে পদ্ম ফুল দেখে সবাই মুগ্ধ।

এক কলেজপড়ুয়া ছাত্রসহ অনেকেই জানান, তারা এমন পদ্ম ফুল আর কখনো দেখেনি। এখানে এসে পদ্মফুল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

Advertisements

বৈশা বিলের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এমন পদ্ম ফুলের বিল আছে, তা আমরা জানতাম না। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসেছি। অনেক ভালো লেগেছে। তা ছাড়া নৌকা চড়ে ঘুরে ঘুরে দেখার মজাই আলাদা।

স্থানীয় এক নৌকার মাঝি জানান, আগে এই বিলে দু-একটা পদ্ম ফুল দেখা যেত। কয়েক বছর থেকে বাড়তে থাকে ফুলের সংখ্যা। এবার এই ফুলের বিস্তৃতি ঘটে বিলের অনেক অংশই ছেয়ে গেছে পদ্ম ফুলে। আমরা এই সময় বেকার থাকতাম। এইবার পদ্ম ফুলের প্রচার হওয়ায় অনেক লোক দেখতে আসছে। আমরাও নৌকা দিয়ে প্রতিদিন এক হাজার থেকে পনেরশ টাকা ইনকাম করতে পারছি। আমার মতো ১৫/১৬ জন আছে, তারাও নৌকা দিয়ে ইনকাম করছে।

শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবরিনা আফরিন বলেন, বৈশা বিলে ছয় হেক্টর জমিতে জলাশয়। এরমধ্যে দুই হেক্টর জমির জলাশয়ে অসংখ্য পদ্ম ফুল ফুটেছে। পদ্মফুল প্রকৃতিপ্রেমীদের যেমন আকর্ষণ করছে, তেমনি ভেষজ ও পূজা মণ্ডপেও রয়েছে এর বিশেষ গুরুত্ব। এটি বাণিজ্যকভাবে চাষ করলে প্রকৃতিপ্রেমীদের বিনোদনের পাশাপাশি যোগ হবে অর্থ উপার্জনে নতুন মাত্রা।