শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

গোল্ডেন ভ্যালিতে আজকের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং আমার বক্তব্য

প্রকাশিত হয়েছে -


আজ (১৬ জুলাই শনিবার) দুপুরের দিকে কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকসহ আমার ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক বন্ধুদের নিয়ে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী শেরপুর শহরের অদূরে সুলতানপুর এলাকাস্থ গোল্ডেন ভ্যালি পার্কে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিক বিশিষ্ট নারীনেত্রী জনাব নাসরিন রহমান আপাকে আগেই জানিয়ে রাখা হয়েছিল।

সে অনুযায়ী তার আমন্ত্রণেই প্রথমে আমি, একাত্তর টিভির শাকিল মুরাদ ভাই, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জামালপুর প্রতিনিধি সাইমুম সাব্বির শোভন, ঢাকামেইলের জামালপুর প্রতিনিধি আলমগীর হোসেনসহ পাঁচজন সাংবাদিক বন্ধুকে নিয়ে গোল্ডেন ভ্যালির প্রবেশ গেইটে পৌঁছি। মালিকপক্ষ’কে এন্টি ফি প্রেমেন্টের পর ভিতরে যাই আমরা এবং মালিকপক্ষ সেখানকার ম্যানেজারকে বিষয়টি আগে থেকেই অবহিত করে রেখেছিল।

তবুও ঐসময় প্রতিষ্ঠানের গেইটে কর্তব্যরত এক কর্মী আমাকে সাংবাদিক হিসেবে না চিনে প্রবেশাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার সাথে আমার বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ঐ অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরপরই আমাদের শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জনাব রফিকুল ইসলাম আধার কাকা, সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. মেরাজ উদ্দিন স্যার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব মহিউদ্দিন সোহেল ভাই ও সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মানিক দত্ত দাদা, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হাসান রাব্বী ভাই এবং প্রচার সম্পাদক জুবাইদুল ভাইসহ আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই সময় টেলিভিশনের শহীদুল ইসলাম হীরা ভাই ও শ্রদ্ধেয় বাবু চক্রবর্তী দাদা, এখন টেলিভিশনের বড় ভাই জাহিদুল খাঁন সৌরভ ভাই, নিউজ বাংলার শাহরিয়ার শাকির, জনবাণীর বুলবুল ইসলাম, বিডি আইটি জোনের ইখতেখার পাপ্পুসহ অন্যান্য সিনিয়র-জুনিয়র মিলে অন্তত: ২৫ জন সাংবাদিক সহকর্মী গোল্ডেন ভ্যালি পার্কে পৌঁছেন।

Advertisements

ঐসময় উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অধ্যক্ষ জনাব মাহবুবুর রহমান সুজা ভাইসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পর্যালোচনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঐ কর্মীটির মানসিক রোগ রয়েছে। যে কারণে সে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় জড়িয়েছে। তাই ঐ বিষয়ে মালিকপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করায় ও ঐ কর্মী আমার কাছে মাফ চাওয়ায় বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সুরাহা হয় এবং ঐ কর্মীকে প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সকল ধরনের ভুল বুঝাবুঝির অবসানও ঘটে। এজন্য আমি ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে শান্তিপূর্ণ সমাধান এনে দেওয়ায় আমাদের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সমাধানকৃত ঐ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আমাদের কিছু সহকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছেন, যা দুঃখজনক। তদুপরি তারা আমার ঘটনার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করায় তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেইসাথে তাদেরকে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্যও অনুরোধ করছি। অনুরোধ করছি অন্য সহকর্মীদের প্রতিও কারও কথায় বা পোস্টে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য।

#ভালবাসায় রাখবেন, ধন্যবাদ সকলকে।

মো: নাঈম ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি: বাংলা টিভি ও ঢাকা মেইল
স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুর টাইমস
সহকারী পরিচালক: সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি