শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

জুমার দিনের ফজিলত

প্রকাশিত হয়েছে -

এ এম আব্দুল ওয়াদুদ

জুমার দিনের ফজিলত অপরিসীম,জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়।
সূরা ‘জুমা’ ৯ নং আয়াতে আল্লাহ তা’আলা জুমার ফজিলত বর্ণনা করে ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ

যার অর্থ হচ্ছেঃহে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানাে হয়, তখন তােমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা ( দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তােমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তােমরা জানতে । (সূরা জুমা:০৯)।

Advertisements

জুমার দিনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে আল্লাহর হাবীব রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ
যে দিনগুলোতে সূৰ্য উদিত হয় তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হচ্ছে, জুমার দিন। এই দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়, এই দিনেই তাকে জান্নাতে দাখিল করা হয় এবং এই দিনেই জন্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়। আর কেয়ামত এই দিনেই সংঘটিত হবে।” (মুসলিম: ৮৫৪)

জুমার দিনে বান্দার পাপসমূহ মাফ করা হয় এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস রয়েছেঃ হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করল, অতঃপর জুমাহ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুমআহ ও (আগামী) জুমুআহ্র মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ করে দেয়া হল। আর যে ব্যক্তি (খুৎবাহ্ চলাকালীন সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করল, সে অনর্থক কর্ম করল।’’ (অর্থাৎ সে জুমুআহ্র সওয়াব বরবাদ করে দিল।) (মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)

এই বিশেষ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যখন বান্দার দুআ কবুল করা হয়।
“জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে, কোনাে মুসলিম যদি সেই সময়টা পায় , আর তখন যদি সে নামাজে থাকে , তাহলে তার যেকোনাে কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)।

হাদিসে আরও এসেছে , আল্লাহ তা’আলা জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের আগের লােকদের উদাসীন রেখেছেন। ফলে ইহুদিদের জন্য শনিবার, আর খ্রিস্টানদের জন্য রবিবার। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৬)

উম্মতে মুহাম্মদির জন্য জুমার দিন নেকি অর্জন ও কৃত পাপকার্য থেকে ক্ষমা পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়ছে।
এদিনে বেশি বেশি নেক আমল করে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা-বান্দী হবার সুভাগ্য যেন আমাদের সবার হয়।আমিন।

লেখকঃশিক্ষার্থী
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।