সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নালিতাবাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী যন্ত্র ধ্বংস

প্রকাশিত হয়েছে -

ফাইল ছবি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১১টি বালু উত্তোলনকারী যন্ত্র ধ্বংস করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার সোহেল রহমান। ১৭ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবত নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে উপজেলা ভোগাই ও চেল্লাখালী পাহাড়ি এ দুটি খরস্রোতা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র খানা-খন্দক ও সুরঙ্গ করে বালু উত্তোলন করে আসছিল শতাধিক বালু ব্যবসায়ী। কিছুদিন আগে নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা করে প্রশাসন। এতে ভোগাই নদীতে বেশিরভাগ মেশিন বন্ধ হলেও চেল্লাখালীতে যথারীতি চলছিল।
এদিকে গত ১২ আগস্ট পাহাড়ি ঢলে ভোগাইয়ে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়। ১৬ আগস্ট ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান। এরপর ১৭ আগস্ট তিনি চেল্লাখালী নদীর বুরুঙ্গা ও পলাশিকুড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ১১টি যন্ত্র ভেঙ্গে ও আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আন্দারুপাড়ার মিজান বেকারীকে ২০ হাজার, নন্নীর ইসলাম বেকারীকে ৩০ হাজার ও বুরুঙ্গার ফাতেমা বেকারীকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

শেরপুর টাইমস/ বা.স

Advertisements