রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নালিতাবাড়ীতে গারো ছাত্র সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুরের শ্রীবরদীতে আদিবাসীদের জুম ফসল ও বাগান কাটার প্রতিবাদে নালিতাবাড়ীতে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বারমারী খ্রিষ্টান মিশন সংলগ্ন পুরাতন ওয়ার্ল্ড ভিশন অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি খ্রিষ্টান পাড়ায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা পাঁচজন গারো আদিবাসীর জুম ফসল ও বাগান কেটে ফেলে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বাগাছাস নালিতাবাড়ী থানা শাখা। কিন্তু জেলা প্রশাসক স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় দ্রুত ওই ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দোষীদের বিচারের ব্যাবস্থা নেবেন। এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাগাছাস নালিতাবাড়ী থানা শাখা তাদের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) নালিতাবাড়ী থানা শাখার সভাপতি সোহেল রেমা, সহ-সভাপতি রাসেল নেংমিনজা, সাধারণ সম্পাদক বাধন চাম্বুগং, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সঞ্জিতা চিছাম ও বাপন নেংমিনজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, শ্রীবরদী উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চন ম্রং, ঝিনাইগাতি উপজেলা শাখার সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শান্ত চিরান ও অন্যান্য থানা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসা গারো আদিবাসীদের উপর এই বর্বর হামলা নতুন কিছু নয়। অনেক বছর ধরেই ভূমি সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত এই এলাকায় বসবাস করা গারো আদিবাসী সহ অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্ঠী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আদিবাসীরা বন তৈরি করে, আর সেই বন কেটে ফেলে একদল বনদস্যুরা। গত ১২ আগস্টের ঘটনা এরই একটি জলজ্যান্ত প্রমাণ। এই প্রসঙ্গে বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তিনি আরও বলেন, শধু শেরপুরে নয় বন বিভাগ সারা বাংলায় আদিবাসী অধ্যুসিত এলাকায় আদিবাসীদের ফসল কেটে দিচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকার না হওয়ায় আদিবাসীরা উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে। তাই তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ঘটনার সুস্থ বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় এই সমস্যার প্রতিকার না হলে আমরা কঠোর অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।

Advertisements