মঙ্গলবার , ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নারায়ণ খোলা ঘাটে যেতে ভাঙা, ঝুকিপূর্ণ ব্রীজে জনজীবনের ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুর জেলার নকলা, নালিতাবাড়ী ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা বাসীর রেল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো জামালপুর সদরের পিয়ারপুর রেল স্টেশন কিন্তু নকলা উপজেলার ভৌগোলিক সীমায় নারায়ণ খোলা বাজার থেকে ভ্রহ্মপুত্র নদের ঘাট পর্যন্ত খানা খন্দক পুর্ন ১ কিলোমিটার কাচা রাস্তা এবং ধ্বসে যাওয়া একটি ব্রিজের কারণে রেল যাত্রীরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এ রাস্তায় নারায়ণ খোলা বাজারের কাছাকাছি ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালে ২৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যায়ে একটি সেতু নির্মাণ করে কিন্তু নির্মানের ৩ বছর পরেই এর ২টি পিলার দেবে যায় ও ব্রিজের দুপার্শের মাটি সরে গিয়ে সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, ফলে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত ঝুঁকিপুর্ন এবং জন দুর্ভোগে পরিনত হয়।

নারায়ণ খোলা ঘাটের ইজারাদার লাভলু মিয়া জানান, আমরা নিজস্ব ফান্ডের লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত চালু রেখেছি কিন্তু যন্ত্র চালিত যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। সাইকেল, ভ্যানগাড়ী, রিকশা বা খালি পায়ে মানুষ পারাপারেও চরম ঝুকিপুর্ন। অথচ আমরা ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকায় ঘাটটি ১ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও কর্তৃপক্ষ মানুষের যাতায়াতের রাস্তাটির উন্নয়নে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

Advertisements

ঘাটের নৌকা চালক সরোয়ার্দী জানান, শেরপুরের নকলা, নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের ফুলপুর, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা ও জামালপুর সদরের হাজার মানুষ প্রতিদিন নারায়ণ খোলা ঘাটদিয়ে পারা পার হয়, ঈদ ও পুজার সময় এ ঘাটে যাত্রীদের উপচে পরা ভীর থাকে।

নকলা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পিয়ারপুর রল স্টেশন। নকলা উপজেলা সদর থেকে নারায়ণ খোলা বাজার পর্যন্ত পাকা সড়ক থাকলেও নারায়ণ খোলা বাজার থেকে ভ্রহ্মপুত্র নদের ঘাট পর্যন্ত সড়ক কাচা খানাখন্দকে ভরপুর।

অপর দিকে ঘাটের ওপার থেকে পিয়ারপুর পাকা সড়ক পর্যন্ত ইটবিছানো হেরিংবন্ডের নিচুরাস্তা থাকায় একদিকে ইটের খটখটানি অন্যদিকে নদীতে সামান্য পানি হলেই রাস্তাটি তলিয়ে যায় ফলে নারায়ণ খোলা বাজার থেকে পিয়ারপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত সীমাহীন যাতায়াত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এব্যাপারে নকলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ব্রিজটি অকার্যকর হয়ে পড়ায় এলজিইডির মাধ্যমে এখানে একটি বড় ব্রিজ নির্মানের বিষয়টি প্রকৃয়াধীন আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন দ্রæত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি চলাচল উপযোগি করতে দু’পার্শে মাটি ভরাট করে সংযোগ স্থাপনের ব্যাবস্থা করতে চর অষ্টধর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বর্তমানে বিধ্বস্ত ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ, নারায়ণ খোলা বাজার থেকে পিয়ারপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত সড়কটি পাকাকরন ও ভ্রহ্মপুত্র নদে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে নকলা, নালিতাবাড়ী ও ফুলপুর উপজেলার দশ লক্ষাধিক মানুষের জীবন যাত্রায় রেলযোগাযোগের সুবিধার মাধ্যমে কৃষি, শিল্প ও ব্যাবসা বানিজ্যের নতুন দার উন্মুক্ত হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, শেরপুর জেলায় কোন রেলপথ বা জেলা বাসীর রেলযোগাযোগের কোন সুযোগ নেই।