সোমবার , ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দুর্ঘটনায় পা হারানো অন্ধ হাফেজের পাশে দাঁড়ালো নকলা অসহায় সহায়তা সংস্থা

প্রকাশিত হয়েছে -

সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো অন্ধ হাফেজ ইউসুফ আলীর পাশে দাঁড়িয়েছে নকলা অসহায় সহায়তা সংস্থা (নঅসস)। এ সংস্থার সাথে সহযাত্রী হিসেবে ছিলেন আরও বেশকিছু সাদামনের মানবদরদি। ‘নঅসস’র কর্মকর্তা ও মানবদরদিগন ৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৩নং ব্লকের ৯নং ওয়ার্ডের ২নং সীটে চিকিৎসারত ইউসুফ আলীকে দেখতে যান। জীবন যুদ্ধে সহায়ক হতে ইউসুফ আলীর স্ত্রীকে একটি সেলাই মেশিন ও ভাড়া দিয়ে টাকা উপার্জন করতে একটি আটো রিক্সা কিনে দিতে আশ্বাস দেন তাঁরা। সড়ক দূর্ঘটনায় ডান পা হারানো অন্ধ হাফেজ মোঃ ইউসুফ আলীকে যারা হাসপাতালে দেখতে ও সহযোগিতা করতে গিয়েছিলেন তারা হলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি ও শেরপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এফ এম কামরুল আলম রঞ্জু ও মোঃ রেজাউল করিম রিপন, শিক্ষক সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আজাদ ডেভিড, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের যুবনেতা শফিকুল ইসলাম ও নকলা অসহায় সহায়তা সংস্থার সভাপতি শামীম আহমেদ প্রমুখ। ওইসময় ওয়ার্ডে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও অনেক রোগীর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৩নং ব্লকের ৯নং ওয়ার্ডের ২নং সীটে চিকিৎসারত পা হারানো অন্ধ হাফেজ ইউসুফ আলীর বর্তমান অবস্থার খোঁজ খবর নিতে কর্মরত ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন এবং কুরআনে হাফেজ অসহায় ও অন্ধ ইউসুফকে ভালোভাবে চিকিৎসা দিতে ডাক্তার-সেবিকাদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।
জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৈতনখিলা গনই মমিনাকান্দা গ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে অন্ধ হাফেজ মোঃ ইউসুফ আলী (২৭) গত ১৪ জুলাই রাত আটটার সময় জামালপুর থেকে বাড়িতে আসার পথে জামালপুর-শেরপুর রোডের ছয়গড়িয়াপাড়া নামক স্থানে যাত্রিবাহী দুইটি সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে পা হারিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডান পা বেশি ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় পায়ের অবস্থা বিবেচনায় কর্তব্যরত ডাক্তার তার ডান পায়ের হাঁটুর উপর পর্যন্ত কেটে ফেলতে বাধ্য হন।
এদিকে দরিদ্র ইউসুফ আলীর পরিবারে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ৮ মাস বয়সী একটি মেয়ে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে কোনোক্রমে দিন কেটে যাচ্ছিল। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এই অবস্থায় সংসারে নেমে আসে মহাবিপদ। অভাবের সংসারে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেওয়ায় মহাবিপদে পড়ে ওই অসহায় পরিবারটি। এই খবর ফেসবুকে দেখে নকলা অসহায় সহায়তা সংস্থা সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো ওই অন্ধ হাফেজ ইউসুফ আলীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আশ্বাস দেয়। তার অংশ হিসেবে ৪ আগস্ট শুক্রবার নকলা অসহায় সহায়তা সংস্থার মহতি উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখে। নকলা অসহায় সহায়তা সংস্থার এমন মহতী উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে বা অনুপ্রাণিত করতে এবং পা হারানো অন্ধ হাফেজ ইউসুফ আলীর অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিভিন্ন দাতা সংগঠন এবং দাতা ও মানবদরদি ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তাঁরা।