ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান অমানবিক নির্যাতন- নিপীড়ন, ধর্মপ্রাণ শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও সভা সমাবেশে ভিন্ন ধর্মের প্রতি অব্যাহত কটুক্তির প্রতিবাদে এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও মন্ত্রনালয় গঠণের দাবীতে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণঅবস্থান বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
৭ নভেম্বর শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ঘন্টাব্যাপি বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক নারী- পুরুষ অংশ নেন। বিক্ষোভ শেষে ভবতারা কালিমন্দির প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সভাপতিতে ও প্রভাষক মলয় চাকীর সঞ্চালন্য়া বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বার ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক কানু চন্দ্র চন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র দে, জনউদ্যোগ আহবায়ক শিক্ষাবিদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আবু আহমেদ বাবুল, সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সোলায়মান আহমেদ, আইইডি’র সমন্বয়কারী মানিক পাল, আইইডি’র ফেলো সুমন্ত বর্মণ শেরপুর ডিস্ট্রিক্ট ডিবেট ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ চৌধুরী শৈবাল, ঝিনাইগাতী ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিক্ষক জীবন চক্রবর্তী, জেলা পুরোহিত কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কবি কমল চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি শিক্ষক বিপুল চক্রবর্তী, সদর উপজেলা ট্রাইবাল সভাপতি ডেনিশন দুলাল মারাক, সাধারন সম্পাদক মিন্টু বিশ্বাস, আদিবাসী নেতা মলিন বিশ্বাস, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েসশনের সাধারন সম্পাদক সুদর্শণ মারাক, শহর ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ চাকী, যুব ঐক্যের জেলা আহবায়ক শান্ত রায়, সদস্য সচিব ইন্দ্রজিত বর্মণ, রবিদাস সম্প্রদায়ের সভাপতি মিলন মেম্বার, হরিজন নেত্রী মুক্তা হরিজন প্রমূখ্ ।
বক্তারা ফ্রান্স সরকারের অশোভন আচরণের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলারও নিন্দা করেন। এসময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং চলমান অমানবিক নির্যাতন- নিপীড়ন, ধর্মপ্রাণ শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান হয়।