রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শর্তসাপেক্ষে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র খুলছে

প্রকাশিত হয়েছে -

কক্সবাজার ও রাঙামাটির পর এবার খুলে দেয়া হচ্ছে বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্র। শর্তসাপেক্ষে শুক্রবার (২১ আগস্ট) থেকে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, বৌদ্ধ জাদি, চিম্বুক, শুভ্রনীলা, থানচির রেমাক্রি, নাফাকুম, রুমার বগালেক, কেউক্রাডং, লামার মিরিঞ্জা, আলীকদমের আলীর সুড়ঙ্গসহ জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা।

বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবানের ডিসি কার্যালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এডিসি শামীম হোসেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার হোটেল-মোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অবশেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে সব পর্যটন কেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেল।

পর্যটন ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাশ বলেন, স্পট খুলে দেয়ায় পর্যটনের কর্মচারীদের বেকার জীবনের অবসান হবে।

Advertisements

জেলার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়ে পর্যটন। বন্ধ হয়ে যায় পার্বত্যাঞ্চলে পর্যটক আগমন। কর্মহীন হয়ে পরে হাজারো মানুষ। জেলায় কর্মসংস্থান ও আয়ের বড় খাত হচ্ছে পর্যটন। পর্যটন খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।

বান্দরবানের এডিসি শামীম হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনো আছে। স্বাস্থ্যবিধি বান্দরবানের পর্যটন স্পটে প্রবেশ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কড়া নজরদারি থাকবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশের মতো বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। এতে লোকসানের মুখে পড়েন জেলায়র হোটেল-মোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর এসব পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে হাসি ফুটেছে জেলার মানুষের মুখে।