মঙ্গলবার , ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত হয়েছে -

“শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উত্তরাধিকারী সনদ পেতে হয়রানির শিকার আদিবাসী পরিবার” শিরোনামে অনলাইন জে’টেলিভিশন সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতে প্রকৃত সত্যকে আড়ালে রেখে তথা বৈকুন্ঠ চিছাম এবং মিনাং ম্রং এর পরবর্তী উত্তরাধিকারী প্রসন্ন এবং দানজী ম্রং, তাদের পরবর্তী বেঞ্জামিন এবং তাশির্লা ম্রং ও বর্তমানে তাশির্লার তিন মেয়ে উর্সুলা, উজ্জ্বলা এবং উৎপলাদের ওয়ারিশান সূত্রে পাওনা ন্যায্য হিস্যা সম্পদের একাংশ বৈকুন্ঠ এবং মিনাং এর মিথ্যা উত্তরাধিকারী সেজে জোরপূর্বক দীর্ঘদিন অবৈধ্যভাবে ভোগদখল করে যাচ্ছে সমিকা ম্রং এবং তার বোনেরা। আমাদের প্রাপ্য জমাজমি হিসাব করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও অদ্যাবধি না দিয়ে বরং নানাভাবে তারা আমাদেরকে হয়রানি করে চলেছে।

প্রকৃত সত্য হলো ,ধানশাইল গ্রাম নিবাসী বৈকুন্ঠ এবং মিনাং দাম্পত্য জীবনে নিঃসন্তান হওয়ায় তাদের অত্মীয় সম্পর্কের দানজী ম্রংকে মেয়ে হিসেবে দত্তক নিয়ে পালন করে এবং গারো প্রথা অনুসারে বৈকুন্ঠ চিছাম তার আপন ভাগ্নেয় প্রসন্ন চিছামকে ঘর জামাই এনে দানজীর সাথে বিয়ে দেন। প্রসন্ন ও দানজীর একমাত্র মেয়ে তাশির্লা ম্রং এর তিন মেয়ে আমরা বর্তমানে আছি। আমাদের আরো চার ভাই ক্লেমেন্ট, যেরোম, বেনেষ্টার এবং বেলারমিন আছে যারা তাশির্লার গর্ভজাত সন্তান।

দুর্ভাগ্য যে, আমাদের নানী দানজী ম্রং আমাদের মা তাশির্লার ছোটকালেই মারা যান। যে কারণে পরবর্তীতে দূর সম্পর্কের নুনাং ম্রংকে এনে প্রসন্ন চিছাম দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। প্রসন্নের দ্বিতীয় স্ত্রী নুনাং নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। গারো মাতৃতান্ত্রিক উত্তরাধিকার প্রথা অনুসারে প্রথমা স্ত্রীর কন্যা সন্তান থাকতে দ্বিতীয় স্ত্রী নুনাং ম্রং,তার কন্যাগণ বা তার বোন বা ভাগ্নিগণ কোনভাবেই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারেনা। নুনাং ম্রং নিঃসন্তান হেতু বৈকুন্ঠ মিনাং এর সম্পত্তি যা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জনের নামে রেকর্ড হয়েছে প্রসনেরœ প্রথমা স্ত্রী দানজীর একমাত্র কন্যা তাশির্লা এবং তাশির্লার মেয়ে হিসেবে আমরাই প্রকৃত ওয়ারিশ।

Advertisements

ওয়ারিশান সনদ পেতে কেন তারা ব্যর্থ হচ্ছে কারণ এই সত্যের ভিত্তিতে ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েসন চেয়ারম্যান এবং ধানশাইল ইউনিয়ন কাউন্সিল চেয়ারম্যান তাদেরকে সনদ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে থাকতে পারেন কিংবা দিলেও তা ভুল প্রমাণিত হবে।

আমাদের বংশানুক্রমের সত্যতা এবং বৈধ্য রেকর্ড পত্রের ভিত্তিতে আবেদন করা মাত্র উনারা আমাদেরকে অনেক আগেই ওয়ারিশান সনদ দিয়েছেন, কেননা শুধুমাত্র তারাই নন জাতি বর্ণ নির্বিশেষে গ্রামবাসী সকলেই জানেন আমরা ব্যাতীত অন্য কেউ এর প্রকৃত ওয়ারিশ, উত্তরাধিকারী হতে পারেনা। এটাই গারো উত্তরাধিকারের মূল নীতি বিধায় উক্ত প্রচার বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

-উর্সুলা ম্রং, উজ্জ্বলা ম্রং, উৎপলা ম্রং।