রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বৈচিত্র্যময় বিরিশিরি

প্রকাশিত হয়েছে -

বিরিশিরি মানেই যেন বৈচিত্র্যময়! নৃ-গোষ্ঠীদের সংস্কৃতি, কংশ-টেপা-সোমেশ্বরীর সৌন্দর্য আর দূরে আকাশে হেলান দিয়ে গম্ভীর গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন প্রতিকৃতি যে কারো মন কেড়ে নেয়। সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে; যেমন- চীনা মাটির পাহাড়, নীল-সবুজ পানির লেক, কমলা বাগান, বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে নৌ ভ্রমণ, বিজয়পুর জিরো পয়েন্ট, সোমেশ্বরী নদী, আদিবাসী সাংস্কৃতিক একাডেমি এবং রানীখং চার্চ।

চীনা মাটির পাহাড় আর সবুজ-নীল জলের লেক।

দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের আড়াপারা গ্রামে এই চীনা মাটির পাহাড় দৃষ্টি কাড়ে দর্শনার্থীদের। চীনা মাটির পাহাড় এবং সবুজ-নীল স্বচ্ছ জলের লেক মূলত একই জায়গায়। পাহাড় থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় নানান জায়গায় বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেখানেই পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে স্বচ্ছ লেক।

চীনা মাটির পাহাড় থেকে পুরো গ্রাম।

 

Advertisements

সেখানে মূলত লেক তিনটি। একটি বেশ বড়। পাহাড়ের গায়ে স্বচ্ছ জলাধারগুলো দেখতে চমৎকার লাগে। আর সেটাতে অনেক পর্যটকই লম্ফঝম্ফ মেরে গোসল সেরে নেন; যদিও এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া ঘুরতে আসা অনেকেই দলবেঁধে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে। সেখান থেকে পুরো গ্রাম দেখা যায়।

রানীখং চার্চ  তৈরি করা হয়েছে সোমেশ্বরী নদীর কূল ঘেঁষে ঘন গাছপালা বেষ্টিত টিলার উপরে। গির্জার উপর থেকে ভারতের পাহাড়গুলোকে দারুণ দেখা যায়। বহুদূর বিস্তৃত সোমেশ্বরী নদীকে মন ভরে দেখতে পাবেন এখান থেকে।

জিরো পয়েন্টে যাওয়ার পথে।

বিজিবি ক্যাম্পের ডান দিকে চলে গেলেই দেখা মেলে নদীর। এখান থেকে নদীতে ঘোরাঘুরির জন্য ঘণ্টা হিসেবে ছোট সাইজের ইঞ্জিন চালিত নৌকা পাওয়া যায়। যা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায় সোমেশ্বরী নদীর স্বচ্ছ জলে। নদীর অপরপাশে ভারত সীমান্ত পর্যন্তও যাওয়া যায়।

সোমেশ্বরী নদীর পাড়ে।

গারোদের দেশে পা ফেলতেই যে কারো মন প্রফুল্ল হয়ে উঠবে। কবি হয়ে কেউ লিখেন কবিতা, কেউবা গলা ছেড়ে গেয়ে ওঠেন গান। আর যারা প্রকৃতির এই বিপুল সৌন্দর্যের এক মুঠো সন্দেশ হিসেবে নিতে চান তারা যে সেলফি আর স্ন্যাপচ্যাটে মগ্ন হয়ে যাবেন-এতে কোনো সন্দেহ নেই।