শনিবার , ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শ্রীবরদীতে অনুমতিহীন ইটভাটার ছড়াছড়ি

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় প্রশাসনের অনুমতি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো তিন ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এ উপজেলায় প্রতি বছরই ফসলি জমি, লোকালয়, পৌরসভার সীমান্তে, বিদ্যালয়ের কাছে একের পর এক ভাটা স্থাপন করে ইট পোড়ানো হলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।

ভাটা স্থাপন বন্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও প্রতিবাদ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। ইটভাটা নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের কোনো নজর পড়েনি। ইটভাটার কাছে রাস্তা-ঘাট, ফসল এবং বিদ্যালয় থাকায় ভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভেলুয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান আরজু বলেন, ভাটার ধুলাবালি এবং ধোঁয়ায় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কিভাবে ইটভাটা স্থাপন হতে পারে এটা তার জানা নেই।

Advertisements

ঝগড়াচর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজল হক বলেন, ইটভাটায় শিশু শ্রমিক থাকলে বিদ্যালয়ের ছাত্রের ওপর এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এ বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই গরিব পরিবারের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকি।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর, শেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাসেল নোমান বলেন, সম্প্রতি তারা ইটভাটার মালিকদের নিয়ে মিটিং করেছেন। যদি কোন ইটভাটা অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত ও ইট পোড়ানোসহ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্যসূত্র : দৈনিক যায়যায়দিন