সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

জুমার নামাজ বন্ধ কাশ্মীরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে

প্রকাশিত হয়েছে -

একটানা দশম শুক্রবার জুমা নামাজ বন্ধ ছিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদ, হজরতবাল দরগাহ মসজিদ, খানকাহ মাওলাতে। বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে এসব মসজিদে গতকাল নিয়ে দশম শুক্রবার জুমা নামাজের আযান হয়নি।

রাজ্য সরকাররের পক্ষ থেকে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পর্যটকদের কাশ্মীরে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি এমন যে একটানা দশম শুক্রবারেও কর্তৃপক্ষ বড় বড় মসজিদে জুমা নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে পারেনি।

জুমা নামাজের পরে প্রতিবাদী জনতার সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় টানা দশম শুক্রবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এখানকার জামিয়া মসজিদসহ অন্য বড় মসজিদগুলোতে জুমা নামাজে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এর পাশাপাশি, শুক্রবার কাশ্মীর উপত্যকার স্পর্শকাতর এলাকায় ১৪৪ ধারা অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জুমা নামাজের জন্য শ্রীনগরের নৌহাট্টা,  ডাউন-টাউনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার অভ্যন্তরে ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের সাহায্যে অবরোধ সৃষ্টি করা হলে মানুষজনের চলাচল ব্যাহত হয়।

Advertisements

জামিয়া মসজিদের আশেপাশে সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় সেখানে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ব্যারিকেড ও কাঁটাতারের পাশাপাশি অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

কর্মকর্তা সূত্রের মতে, কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং বর্তমানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দক্ষিণ কাশ্মীর ও উত্তর কাশ্মীরের অনেক স্পর্শকাতর এলাকায় আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও এদিন দুপুরের পরে ডাউন-টাউন এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রতিবাদী মানুষজন পাথর নিক্ষেপ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন থাকা নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।

শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার কারণে কাশ্মীর উপত্যকার সমস্ত দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সড়কে যানবাহন চলাচলও খুব কম ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুসল্লিদেরকে স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ পড়তে বলা হয়।  শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় আসা পর্যটকদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরে, পর্যটকরা আবার উপত্যকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হয়েছে। যদিও উপত্যকায় সর্বত্র ল্যান্ডলাইন ফোন পরিসেবা পুনরুদ্ধারের দাবি করা হলেও তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ করছে না।