রবিবার , ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আমজাদ হোসেন (১৯৪৬-২০১৯)

প্রকাশিত হয়েছে -

প্রথিতযশা রাজনীতিক ও সমাজসেবক হিসেবে আমজাদ হোসেন ছিলেন শেরপুরের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার
শীতলপুর এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা আহমদ আলী, মা শরফুলি বেগম ও স্ত্রী গুলশান আরা। দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি । শিক্ষা জীবনে তিনি শেরপুর ভিক্টোরিয়া একাডেমী থেকে ১৯৬২ সালে মেট্টিক্যুলেশন, শেরপুর কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে এইচ.এস.সি ও ১৯৭২ সালে বি.কম পাশ করেন।

আমজাদ হোসেন রাজনীতির পাশপাশি ব্যবসায়িক এবং সমাজসেবামুলক কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, যুদ্ধাপারধিদের বিচার এবং সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সবসময় সামনে থেকে নেতৃৃত্ব দেন। ছাত্র জীবনেই তিনি ছাত্র রাজনীতির
সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে অবিভক্ত জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি তাকে শেরপুর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব দেন ।

১৯৭০ সালে তিনি শেরপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি শেরপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও রোটারী ক্লাবের সভাপতি এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শেরপুরের শীতলপুর এলাকায় তার দাদার নামে হাজী কলিমদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং শেরপুর সরকারি কলেজ ও শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এবং সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট ইন্তেকাল করেন ।

Advertisements