রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শ্রীবরদী পৌরবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুরের শ্রীবরদী পৌরসভার সব ধরনের নাগরিক সেবামূলক কার্যক্রম ১৫ দিন থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পৌর ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির নাগরিকরা। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশন আদায়ের দাবীতে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণের দাবি তুলেছেন ভূক্তভোগীরা।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই থেকে পৌরসভা সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। শ্রীবরদী পৌর ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলনে অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতেকরে পৌরবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নাগরিক সেবা বন্ধ থাকায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নিতে পারছেন না পৌরবাসী। জুন মাস চলে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ চলে গেলেও তারা তা নবায়ন করতে পারছেন না। ফলে ব্যাংকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। নাগরিক সনদপত্রের অভাবে চাকরির আবেদন করতে পারছেন পৌরবাসী। পৌরসভা বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপের কারণে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। ময়লার দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাইছেন পৌরসভার সকল শ্রেণির নাগরিক।
পৌর শহরের ব্যবসায়ী কালাম, মনি, ফরহাদ জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে পৌরসভার সকল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষ। যেখানে সেখানে ময়লার স্তুপ পড়ে থাকায় দূর্গন্ধে রাস্তায় চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। সেবা প্রার্থীরা পৌরসভায় গিয়ে কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে।
পৌর সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন শ্রীবরদী শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, কেন্দ্রীয় আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা সবাই ঢাকায় আছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শ্রীবরদী পৌরসভার সচিব শরাফত আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা আদায়ের দাবীতে পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কেউ কর্মস্থলে যোগদান করবেনা।