সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলে ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ দিন ধরে বন্ধ

প্রকাশিত হয়েছে -

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও অবিরাম বৃষ্টি পানিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ দিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক রয়েছে সাতটি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১০টি। গত বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন সড়কে এবং বিদ্যালয়ে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সাময়িকভাবে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এবং এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টির পানিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে খলাভাঙা উচ্চ বিদ্যালয়,ফকিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়,মরিচপুরান দাখিল মাদরাসা,উত্তর নাকশি উচ্চ বিদ্যালয়,কলসপাড় উচ্চ বিদ্যালয়,গাগলাজানি দাখিল মাদরাসা ও বাথুয়ারকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় গত বৃহস্পতিবার থেকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া উপজেলার আড়িয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ রানীগাঁও পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উল্লারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিপুলেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলসপাড় শেওড়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাথুয়ার কান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গেড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালুকাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগুয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে, শ্রেণিকক্ষে ও বিদ্যালয়ের যাওয়া আসার পথে জলবদ্ধতা থাকায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না।
তাই গত বৃহস্পতিবার থেকে সৃষ্ট বন্যায় বিদ্যালয় গুলোয় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পক্ষ থেকে উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে। পানি নেমে গেলে পুনরায় বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু করা হবে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
আড়িলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ লাল মিয়া জানান, শ্রেণি কক্ষসহ বিদ্যালয় মাঠে ঢলের পানি থাকায় এবং বিদ্যালয়ে আসার সড়কটি পানিতে ডুবে থাকায় বিদ্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। পানি নেমে গেলে পাঠদান চালু করা হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুননেছা বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানি নিন্মাঞ্চল এলাকার নেমে আসায় ১০টি বিদ্যালয় সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে। পানি সড়ে গেলে আবার পাঠদান চলবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় থেকে বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিদ্যালয়ে পানি থাকায় সড়কে পানি থাকায় ৭টি বিদ্যালয়ে ৫দিন ধরে সাময়িক ভাবে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে পুনরায় পাঠদান শুরু হবে।