সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

নালিতাবাড়ীতে ভোগাই নদীর ৬ শত ফুট বাঁধ ভেঙে ৭ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টির পানিতে উপজেলার মরিচপুরান এলাকায় দুটি স্থানে ভোগাই নদীর সাড়ে ৬শ ফুট বাঁধ ভেঙে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতায় সড়ক ডুবে থাকায় এবং বাড়ি ঘরে পানি থাকায় দুইদিন ধরে ৭ গ্রামের মানুষ দারুণ কষ্টের শিকার হচ্ছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই ) বিকেলে এলাকাবাসির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে অতি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভোগাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার মধ্যরাতে উত্তর কোন্নগনর রাজারখাল পাড় এলাকায় ভোগাই নদীর ২শ ফুট বাঁধ ও ফকিরপাড়া চেয়ারম্যানের বাড়ির পেছনে ভোগাই নদীর সাড়ে ৪শ ফুট বাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙণ অংশ দিয়ে ভোগাই নদীর ঢলের পানি প্রবেশ করে মরিচপুরান, বাঁশকান্দা, ফকিরপাড়া, খলাভাঙ্গা, ভোগাইরপাড়, মরিচপুরান পুর্বপাড়া ও উল্লারপাড় গ্রামের আশপাশে এলাকা গুলোতে সৃষ্ট বন্যা দেখা দিয়েছে। বানের পানি সড়কে থাকায় ফকিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, খলাভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। মরিচপুরান থেকে ফকির পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সড়কে, মরিচপুরান চৌরাস্তা বাজার থেকে ছনটাল হয়ে রাবারড্যামের সড়কে ও মরিচপুরান পুর্বপাড়া থেকে খলাভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সড়ক দুইদিন ধরে পানিতে সড়ক ডুবে আছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্রায় অর্ধ শতাধিক মাছ চাষের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। যাতায়াতের সড়কে পানি থাকায় এলাকাবাসি ঠিকমত চলাচল করতে পারছেন না। সড়কে পানি থাকায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না। এলাকাবাসি ঢলের পানি নিস্কাশনের জন্য ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু ভাঙণ অংশ পরিদর্শন করে মরিচপুরান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান খন্দকার শফিক আহমেদকে পানি কমলেই বাঁধ সংস্কারের নির্দেশ দেন।
মরিচপুরান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার শফিক আহমেদ জানান, দুই অংশে সাড়ে ৬শ ফুট ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। ভাঙণ অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় সড়কসহ ৭টি গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানি কমলেই বাঁধ সংস্কারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শরীফ ইকবাল বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখন আবাদী ফসল না থাকায় ওইসব জমিতে পলি পড়ায় কৃষকের জন্য ভাল হয়েছে। অন্যদিকে স্বল্প পরিমান আমন বীজতলা ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে চারার তেমন ক্ষতি হবে না।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, দুটি ভাঙণ অংশ দেখেছি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে পানি কমার সাথে সাথে বাঁধ সংস্কার করতে বলা হয়েছে।