বুধবার , ১৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১২ই জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

নালিতাবাড়ীর আব্দুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজের সীমানা প্রাচীর হেলে পড়েছে

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরে অবস্থিত নালিতাবাড়ী শহীদ আব্দুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজ। এই কলেজের সীমানা প্রাচীরটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এটিকে এখন বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেক দিয়ে দাড় করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে হেলে যাওয়ায় যে কোন সময় সীমানা প্রাচীরটি ধ্বসে যাওয়ার আশংকা করছেন মহল্লাবাসী।

পুরোনো এই সীমানা প্রাচীরের প্রায় ২০০ ফুট হেলে যাওয়ায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা পোস্ট অফিসসহ ১০ গ্রামের মানুষ পাশের রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। দ্রুত সীমানা প্রাচীরটি সংস্কারের ব্যবস্থা না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বিগত ১৯৯৬ সনে শহীদ আব্দুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর বেশ কয়েক বছর পর তারাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৮ ফুট উচ্চতার প্রায় ২০০ ফুট লম্বা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সীমানা প্রাচীরটি সংস্কার না করায় তা বর্তমানে হেলে পড়েছে। কয়েকটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে দেয়ালটিকে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে।

Advertisements

তারাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রশীদ জানান, শহীদ আবদুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজের সীমানা প্রাচীরের পাশের পথ দিয়ে শিক্ষার্থীসহ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। প্রাচীরটি যে কোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে। এতে বড় ধরনের তি হতে পারে।

গোবিন্দ নগর গ্রামের শিক্ষার্থী ফারিহা ইয়াসমীন জানায়, প্রতিদিন ভয় নিয়ে এই পথটুকু অতিক্রম করে স্কুলে যাই। পথচারীরাও জানান একই কথা।

এ ব্যাপারে শহীদ আবদুর রশীদ ডিগ্রি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা সীমানা প্রাচীরটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে সীমানা প্রাচীরটি ভেঙে নতুনভাবে করার এখতিয়ার আমার নেই। তাই প্রাচীরটি নির্মাণের জন্য আমি কলেজ গর্ভনিং বডির প্রতিটি সভায় উত্থাপন করি। কিন্তু তারা কেউ আমার কথায় কান দেন না। তবে তিনিও দ্রুত সীমানা প্রাচীরটি নির্মাণের দাবি জানান।