সোমবার , ১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১০ই জিলহজ, ১৪৪৫ হিজরি

বিপ্লবী রবি নিয়োগীর জন্য স্বাধীনতা পদক কাঁদছে

প্রকাশিত হয়েছে -

তালাত মাহমুদ :

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বন্ধুগো বড় বিষজ্বালা এই বুকে/ দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি/তাই কই যাহা আসে মুখে’। ব্রিটিশ উপনীবেশ ভেঙ্গে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ হয়েছে। কিন্তু যাদের আত্মত্যাগ আর অবিমিশ্র বিপ্লবী কর্তব্য পালনের মাধ্যমে এটা সম্ভব হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ন্যায্য স্বীকৃতি বা ন্যায্য পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্পণ্য, অবহেলা বা উদাসীনতা আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই উক্তিটি স্মরণ করিয়ে দেয়।

বাংলাদেশের যে সব অকুতোভয় বিপ্লবী সূর্যসন্তান ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন সে সব বিপ্লবী কৃতি সন্তান সম্পর্কে বাল্যকালে আমার আব্বার কাছে নানা বীরত্বপূর্ণ গল্প-কাহিনী শুনেছি। তন্মধ্যে চট্টগ্রামের মাস্টার দা সুর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার, ক্ষুদিরাম এবং শেরপুরের বিপ্লবী রবি নিয়োগী (আন্দামান ফেরত), চন্দ্রকোণার বিপ্লবী নগেন্দ্র চন্দ্র মোদক (আন্দামান ফেরত) ও কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মন্মথ দে (পাচু বাবু) সম্পর্কে ছেলে বেলাতেই অনেক কিছু জেনেছি। আর বড় হয়ে তো বিপ্লবী রবি নিয়োগী ও কমরেড মন্মথ দে’র সান্নিধ্যে অসংখ্যবার গিয়েছি। বিপ্লবী রবি নিয়োগী পরলোক গমন করেছেন একথাটি বিশ্বাস করতে আমার আজো কষ্ট হয়। যেন তার মুখাবয়ব আজো জ্বলজ্বল করছে। মনে হয়, তিনি এখনো বেঁচে আছেন। দেখা হলেই স্বভাব সুলভ হাসি হেসে জিজ্ঞেস করবেন, ‘লেখালেখি কেমন চলছে’!

Advertisements

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নিবেদিতপ্রাণ বিপ্লবী সূর্যসন্তানদের মাঝে যে ক’জন অকুতোভয় বিপ্লবী সৈনিক আন্দামানে নির্বাসিত হয়েছিলেন তাদের মাঝে বিপ্লবী রবি নিয়োগীর নাম প্রাতঃস্মরণীয়। ভারত ও পাকিস্তান বিভক্তির পর স্বাধীকার আন্দোলনের শুরুতে তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের অসহযোগ আন্দোলন এবং ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।

আজীবন আপোষহীন ও সংগ্রামশীল কেন্দ্রীয় কমিউনিস্ট নেতা সর্বশেষ বেঁচে থাকা বিপ্লবী ৯২ বছরের অশীতিপর বৃদ্ধ কমরেড রবি নিয়োগী ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে শেরপুরে পরলোকগমন করেন। তিনি ৩ পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।

বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তী পুরুষ বিপ্লবী রবি নিয়োগীর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা পরিমিত পরিসরে সম্ভব নয়। শেষ জীবনে প্রচারবিমুখ সহজিয়া প্রবৃত্তির নির্মোহ স্বভাবের অতি সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত এই মানুষটিকে দেখলে বুঝবার কোন উপায় ছিলনা যে, তিনি একজন আপোষহীন কট্টর বিপ্লবী ছিলেন। দল মত নির্বিশেষে সকলের শ্রদ্ধার পাত্র বিপ্লবী রবি নিয়োগী ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে শেরপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

রাজনীতি সচেতন পিতামাতার কাছে শৈশবেই তিনি দেশপ্রেমের দীক্ষা লাভ করেন। ক্ষুদিরামের ফাঁসি, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহ ও ইংরেজদের প্রজাবিরোধী নির্মম নিষ্ঠুর কাহিনী শুনে কমরেড রবি নিয়োগী ধীরে ধীরে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর এক ভাই মনি নিয়োগীও ব্রিিটশ বিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রামের অন্যতম ধারা ‘অনুশীলন’ দলের সাথে যুক্ত ছিলেন।

১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে অধ্যয়নকালে রবি নিয়োগী সশস্ত্র বিপ্লবী দল ‘যুগান্তরে’ যোগ দেন। তিনি প্রথম জীবনেই মনে করেছিলেন, এদেশ থেকে ইংরেজদের তাড়াতে হলে সশস্ত্র বিপ্লবের প্রয়োজন। এ চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী জগদীশ বসু ও আরো কয়েকজন বিপ্লবীর সহযোগিতায় আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালান। এসময় তাঁর নেতৃত্বে শেরপুরের জমিদারের কাচারিতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৫ হাজার টাকা লুট করা হয়।

কাচারি আক্রমণের খবর পেয়ে পুলিশ চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। বিপ্লবীরা গুলি ছুঁড়লে পুলিশ প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যায়। একইদিন রবি নিয়োগী শেরপুর গুদারাঘাটে এক ইংরেজ সাহেবের উপর গুলি ছুঁড়লে ইংরেজ সাহেব অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। তবে মফিজ নামের একজন বাঙ্গালি গার্ড আহত হয়। এরপর তিনি বিপ্লবী সুকুমার মজুমদারের সাথে জামালপুর শহরে প্রবেশ করেন।

আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি জামালপুরের খোকা রায় ও বিধুসেন সহ কয়েকজন বিপ্লবীর সাথে পরামর্শ করেন। তখন পুলিশ রবি নিয়োগীকে ধরার জন্য হন্যে হয়ে খোঁজছিল। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে রবি নিয়োগী ও প্রমথ গুপ্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ জেলখানায় প্রেরণ করে। এ সময় চট্টগ্রামে অস্ত্র লুন্ঠণের মামলা চলছিল। অস্ত্রাগার লুন্ঠনের নায়ক ছিলেন মাস্টার দা সূর্যসেন। রবি নিয়োগী প্রথম যখন জেলে যান তখন জেলে কোন কোড ছিলনা।

সেখানে রাজবন্দী আর সাধারণ কয়েদীদের মাঝে কোন ব্যবধান ছিল না। বন্দীদের সুযোগ সুবিধার দাবিতে রবি নিয়োগী জেলখানায় আন্দোলন শুরু করেন। এ অভিযোগে তাকে প্রেরণ করা হয় রাজশাহী কারাগারে। সেখানে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয় কনডেম সেলে। (যেখানে ফাঁসির আসামীদের রাখা হয়)। একদিন বিপ্লবীরা রাজশাহী কারাগারের জেলারকে গুলি করে। পাগলা ঘন্টি বাজিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের উপর অমানুষিক নির্যতন চালায়।

এ অবস্থায় রবি নিয়োগীকে কোলকাতা আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী কারাগারে গুলি বর্ষণের ঘটনার মামলায় ইংরেজ শাসক ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়ে রবি নিয়োগীকে আন্দামানে দীপান্তরে পাঠায়। ২৫ জনের একটি বন্দীদলকে ‘মহারাজ’ নামের একটি জাহাজে করে দীপান্তরে পাঠানো হয়। এ সময় রবি নিয়োগী মার্ক্সবাদে দীক্ষা নিচ্ছিলেন। তাই আন্দামান যাবার পথে কার্ল মার্কসের বই-পুস্তক সঙ্গে নিলেন।

উল্লেখ্য, ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ শাসক আন্দামানে সেলুলার জেল স্থাপন করে। ইতোপূর্বে সেখানে কোন জেল ছিলনা। বন্দীদের আন্দামানে নিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতো। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহের সৈনিকদের ইংরেজ শাসক আন্দামানের জঙ্গলে ফেলে আসে। পরবর্তী সময়ে ইংরেজ শাসক সেখানে তিনতলা বিশিষ্ট একটি কারাগার নির্মাণ করে। তারপরও সেখানে ছিল নানা অনিয়ম আর অবহেলা। আন্দামান জেলে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে রবি নিয়োগী সহ অন্যান্য বন্দী বিপ্লবীরা আমরণ অনসন শুরু করেন। এ অনসনে তিনজন বিপ্লবী মারা যান। আন্দামানে বিপ্লবীদের অনসন ও মৃত্যুর খবর সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়লে স্বাধীনতাকামী মানুষের মাঝে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

বিপ্লবীরা আন্দামান জেলে মার্ক্সবাদে দীক্ষিত হন। জেলে তখন ক’জন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক ছিলেন। পরবর্তীতে রবি নিয়োগী কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। তিনি মহাত্মা গান্ধির অসহযোগ আন্দোলনেও যোগ দেন। তিনি নিখিল বঙ্গ কংগ্রেসেরও সদস্য ছিলেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু শেরপুর সফরে আসেন। এসময় তিনি এক জনসভায় ভাষণ দেন। বিপ্লবী রবি নিয়োগী উক্ত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে রবি নিয়োগী বিয়ে করেন।

বিয়ে হয় কোলকাতায়। তাঁর স্ত্রী জ্যো¯œা নিয়োগীও রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান সরকারের জেল জুলুম ও নির্যাতন ভোগ করেন। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেরপুর এলে প্রথমে তিনি বিপ্লবী রবি নিয়োগীর বাড়িতে যান। সে সময় রবি নিয়োগী কারাগারে ছিলেন। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অসামান্য অবদান রাখায় ভারত সরকার অন্যান্য বিপ্লবীদের মত বিপ্লবী রবি নিয়োগীকেও বৃত্তি প্রদান করেন। কিন্তু ভারত সরকারের সে বৃত্তি তিনি গ্রহণ করেননি। শুধু তা-ই নয়, দেশ ভাগের পর অনেকে ভারত চলে গেলেও মাতৃভুমির টানে তিনি স্বদেশেই থেকে যান।

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তিনি শেরপুরে ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতা চালান। যুদ্ধের সময় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বারিঙ্গাপাড়া শরণার্থী শিবিরে উদ্বাস্তুদের নানা ত্রাণ সাহায্যের জন্য রবি নিয়োগী অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। টংক আন্দোলন, কৃষক বিদ্রোহ ও সাঁওতাল বিদ্রোহে নেতৃত্ব দানকারী; শেষ জীবনে সহজ সরল অমায়িক ও সংবেদনশীল চিত্তের নিরহঙ্কারী ব্যক্তিত্ব- সর্বজন শ্রদ্ধেয় রবি নিয়োগীকে দেখে বুঝার উপায় ছিলনা যে, এককালে তিনি কট্টর বিপ্লবী ও আপোষহীন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। সোনার চামিচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও

তিনি সকল প্রকার আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাসিতা থেকে বরাবরই দূরে থেকেছেন। যৌবনের সবটুকু সময় বিসর্জন দিয়েছেন মাটি ও মানুষের জন্য। তাঁর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল শোষণহীন ও বঞ্চনামুক্ত একটি সুখি-সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের; স্বপ্ন ছিল দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অর্জন এবং একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের।

বিপ্লবী রবি নিয়োগী দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গীত হলেও তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তিনি জীবনের ৩৪টি বছর জেল জুলুম ও নির্যতন ভোগ করেছেন। শোষণহীন সমাজ গঠনে, হতদরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর নাম লেখা
থাকবে বটে; তবে অন্যায়-অসত্য, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রেরণা যোগাতে তাঁর সংগ্রমী জীবন চরিত নতুন
প্রজন্মের সামনে তুলে ধরলে তাদের মাঝে দেশপ্রেম উজ্জীবিত হবে বৈকি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে শেরপুর সফরে আসেন এবং এক জনসভায় ভাষণদান করেন। রবি নিয়োগী সেই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। বিপ্লবী রবি নিয়োগী ও কমরেড মন্মথ দে দেশমাতৃকার জন্য জীবন-যৌবন উৎসর্গ করে দেশপ্রেমের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন- তার তুলনা হয়না।

এছাড়া ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মু’তাসিম বিল্লাহ খুররম বীর বিক্রম, কমান্ডার জহুরুল হক মুন্সী বীর প্রতীক (বার) এবং ১৯৬৯-এর অসহযোগ আন্দোলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও তৎকালীন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এবং ১৯৭১এর শুরুতে ময়মনসিংহ ইপিআর ক্যাম্প দখলের নায়ক, মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বীর প্রতীক শেরপুর তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহের অহঙ্কার। সাম্প্রতিককালে যতীন সরকার ও শহীদ নাজমুল আহসানকে ‘স্বাধীনতা পদকে” ভুষিত করে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু এতদিন পরও বিপ্লবী রবি নিয়োগীকে ‘স্বাধীনতা পদক’ না দেওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এর ফলে জাতির এ জাতীয় ভাল দিকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

মোদ্দাকথা, একটা অঞ্চলের কোন কৃতি সন্তানকে ‘স্বাধীনতা পদক’ বা অন্য কোন রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করার আগে জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিচার বিশ্লেষণের সর্বজনীন মাপকাঠিতে বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচক মন্ডলীকে সন্দেহাতীতভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে এবং কোন প্রকার রাজনৈতিক দানাইপানাই চলতে দেওয়া যাবেনা; দেওয়া উচিতও নয়। #

তালাত মাহমুদ কবি সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবং সভাপতি, কবি সংঘ বাংলাদেশ।
০১৭১৫৯৬০৩৮২