মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

জমে উঠেছে শেরপুরের ডিসি লেক ॥ সেলফি ব্রীজে ভিড়

প্রকাশিত হয়েছে -

শাকিল মুরাদ: ডিসি লেক। নামটা শুনতেই ভালো লাগে। শুধু নাম নয় পরিবেশ, স্বচ্ছ পানি, ঢেঁকি চেয়ার, দোলনা ও বাঁশ দিয়ে তৈরী ব্রীজ দেখলে মনে হবে আসলেই কি এটা শেরপুরের ডিসি লেক। হ্যাঁ এটাই শেরপুরের ডিসি লেক। ইতিমধ্যেই লেকের ভিতরের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে নির্ঝরের আনন্দধারা।

কিছুদিন আগেও জেলা কালেক্টরেট ভবন ও মসজিদের সামনের ছায়া ঘেরা চত্ত্বরটি অনেকটা অযত্ব ও অবহেলায় পড়েছিল। যেখানে দিনের বেলা কালেক্টরেট ভবনের পাশপাশি আদালত চত্বর ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিভিন্ন কাজে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের বিচরণ থাকলেও বসার জন্য ছিলনা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। তবে সন্ধ্যা হলে এখানে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের মল ত্যাগ ও বাজে আড্ডাবাজদের আড্ডাস্থলে পরিনত হয়েছিল।

কিন্তু সম্প্রতি শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন এ জায়গাটি শহরের সর্বস্তরের জনগণের কথা চিন্তা করে জায়গাটি বিনোদন কেন্দ্রে হিসেবে পরিণত করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় লেকের ভিতরের কাজ। একে একে লেক বা গাঙিনার দক্ষিণ পাড়ে বসার জন্য বেশ কয়েকটি বেঞ্চ তৈরী করেন। ভোরে ও সন্ধ্যার পর হাটার জন্য চত্ত্বরের চারপাশ দিয়ে তৈরী করেন ওয়ার্কিং রোড। লেকের পানিতে ভেসে রেড়ানোর জন্য আনেন ৪টি প্যাডেল বোট। ৪ আসনের এ প্যাডেল বোটে প্রতিজন ১৫ মিনিটের জন্য ভাড়া নেওয়া হয় ২০ টাকা। তবে একসঙ্গে চারজন হলে ভাড়া নেওয়া হয় ৬০ টাকা। প্যাডেল বোট সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চালু থাকে।

Advertisements

লেক পাড়ের ছায়া ঘেরা নানান প্রজাতির গাছের ছায়াতলে শীতল বাতাসে ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যেতে পারেন নদী ঘেরা হীমশিতল এক শান্ত গ্রামে। লেকের পাড়ে ইতিমধ্যে ঢেঁকি চেয়ার ও দোলনা বসানো হয়েছে। আর লেকের পূর্ব প্রান্তে বাঁশ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে মনোরম সাঁকো বা ফুট ব্রীজ। যেখানে দাড়িয়ে বিনোদন প্রিয় মানুষ যেন লেকের পানির সাথে মিতালী করতে পারে। নানা রঙে সাজানো ওই সাঁকোটি ইতিমধ্যে শহরবাসীর কাছে ‘সেলফি ব্রীজ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এর মধ্যে আবার নতুন করে সংযোজন হয়েছে নির্ঝরের আনন্দধারা। যা সম্প্রতি জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার উদ্বোধন করেন।

শেরপুর জেলা শহরের নতুন বিনোদনস্থল হয়ে উঠেছে ডিসি লেক চত্ত্বর। একটু সময় পেলেই পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে লেকে ঘুরতে আসেন। কোন রকম প্রচার-প্রচারণা না হলেও এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ আসতে শুরু করেছেন। শহরের একেবারে প্রাণ কেন্দ্রে এমন গ্রামীণ পরিবেশে এসে অনেকই পরিবার পরিজন নিয়ে আসার চিন্তা করছেন। প্রচন্ড গরমে হাফিয়ে উঠা মানুষ এখানে আসলে হীমশিতল বাতাসে প্রাণ জুড়াতে পারবেন।

যেভাবে আসবেন ডিবি লেক বা চত্বরে:
শেরপুর জেলা পায়রা চত্বর থেকে ২কিলোমিটার দূরত্বে এই ডিসি লেক। এখানে আসতে রিক্সা অথবা ইজিবাইকে দিয়ে আসতে পারেন।