রবিবার , ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত ॥ যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত হয়েছে -

রাজধানীতে বাস চাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জের ধরে ছাত্র বিক্ষোভে বিভিন্নস্থানে যানবাহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে শেরপুরে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ফলে চতুর্থ দিনের মত রবিবারও শেরপুর থেকে দূরপাল্লার রুটে কোন বাস চলেনি। এদিকে ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র সেতু ও ফুলপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে মারধরের প্রতিবাদে শেরপুর থেকে ময়মনসিংহগামী সিএনজি অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে।ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে পরিবহন শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের বাগরাকসা এলাকার পৌর নূতন বাসটার্মিনাল ও নবীনগর আন্তঃজেলা বাসটার্মিনালে ঢাকাগামী বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বাসটার্মিনালে অনেক যাত্রী এসে বিষন্ন মনে ফিরে যাচ্ছে। পরিবহন ধর্মঘটের ফলে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন না।

সোনার বাংলা বাস কাউন্ডারে সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা খোরশেদ আলী বলেন, ভাই বলেন আমার সোমবার সকালে অফিসে ডিউটি আছে। এখন কোন গাড়ি যাচ্ছে না। কি যে করি। পাশেই রফিক নামে আরেকজন বলেন, জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন আমার। কিন্তু যানবাহন চলাচল বন্ধ। এখন কীভাবে ঢাকায় যাবো এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।

Advertisements

শেরপুর-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সোনার বাংলা পরিবহন সার্ভিসের টিকিট মাস্টার মো. হুমায়ুন বলেন, যানবাহন ও চালকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্তক্রমে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন রাজু বলেন, শেরপুর জেলা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বাস। তাই বাস ধর্মঘটের ফলে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। দ্রুত এর সমাধান হবে আশা করছি।