শনিবার , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঝিনাইগাতীতে এক মণ ধানে একজন শ্রমিক!

প্রকাশিত হয়েছে -

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এখন বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাকা ধান থাকলেও তা কাটার জন্য শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে। ধান কাটার জন্য বেশি মুজুরী দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না কৃষক। তাই শ্রমিক সংকটে অনেকে সময়মতো ধান কাটতে পারছেন না। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে গৃহস্থের খরচ পড়ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। গতকাল রোববার বাজারে ধান বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৭৩০ টাকায়। এদিকে নিরুপায় হয়ে যেসব কৃষক বাড়তি মুজুরী দিয়েই শ্রমিক লাগিয়ে ধান কাটছেন তারা লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার বোরো মৌসুমে ১৪ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬২ হাজার ৪২৪ মেট্রিক টন।

উপজেলার বালিয়াগাঁও গ্রামের কৃষক মো. সাদ্দাম ম-ল বলেন, ‘এবার বোরো মৌসুমে আড়াই একর জমিতে বোরো ধান লাগাই (রোপণ) ছিলাম। এক একর জমিতে বি আর-২৬ ধান লাগাই ছিলাম। ওই জমির সব ধানের শীর্ষ মরে সাদা হয়ে গেছিল। একদিন আগে রাইতো (রাতে) যে বৃষ্টি হয়ছে। আইজ (আজ) আবার বৃষ্টি হলে বিলের সব ধান তলায়ে যাব গা। এর জন্য বেশি দামে কামলা (শ্রমিক) নিয়ে ধান কাটলাম। এবার ধান লাগিয়ে লাভের গুড় পিঁপড়ায় খাচ্ছে।’

Advertisements

উপজেলা সদরের কৃষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫৬) জানান, ‘বোরো জমিতে ধান পেকে আছে। দুইদিন ধরে ধান কাটতে শ্রমিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজ (রোববার) শ্রমিক পাওয়া গেলেও মুজুরি ৭৫০ টাকা একইসঙ্গে দুইবেলা খাবার। এবার বোরো ধানের চারা রোপোণের সময় শ্রমিকের মুজুরি দিতে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তাই ধান লাগিয়ে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন তিনি।’

শ্রমিক মো. মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘এক হালা (মুঠি) ধান কাটতে বিলের জমিতে একসাথে ৭-৮টা রক্ত শোষা জোঁক ধরে এর জন্য ধান কাটতে খুব পেরেশাণ হয়। তাই মুজুরিও টা এবার একটু বেশি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এবার এ উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন প্রায় ৬০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’