রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরের বন জঙ্গলে ফিরছে হারিয়ে যাওয়া পাখি

প্রকাশিত হয়েছে -

 শেরপুরের গ্রামগঞ্জ ও বন জঙ্গলে ফিরে আসতে শুরু করেছে হারিয়ে যাওয়া পাখি। জেলার খাল-বিল নদী তীর আর বনবাদারএখন মুখর হয়ে উঠছে হারিয়ে যাওয়া ওইসব পাখির কলকাকলিতে।

পাখিদের এই ফিরে আসার পেছনে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পাখি পল্লব’ ‘এসএম ফাউন্ডেশন’ ‘শাইন’ ‘শেরপুর বার্ড ক্লাব’সহ বেশ কিছু সংগঠনের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। গত এক দশক ধরে এসব সংগঠন পাখি ধরা, হত্যা বা বনের পাখি খাঁচায় বন্দী করে রাখার বিরূদ্ধে জনমত সৃষ্টির ব্যাপারে সোচ্চার ছিল। পাখি শিকারীদের আইনের হাতে সোপর্দ করতেও তারা পিছপা হয়নি। সেই সঙ্গে তারা বিদেশি প্রজাতির গাছের বদলে দেশি প্রজাতির বৃক্ষ রোপণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন। এর সুফলও ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে- হারিয়ে যাওয়া পাখিরা আবার ফিরছে।

বিশিষ্ট পাখি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি ও ‘বাংলাদেশের পাখির ফিল্ড গাইড’ এর রচয়িতা ইনাম আল হক বলেন, দেশি পানকৌড়ি, ধলাচোখ তিসাবাজ, কমলাপেট ফুলঝুড়ি খুবই কম দেখা যায়। পাখি পল্লবের সদস্যরা যে এ পাখিগুলোর দেখা পেয়েছে এটা আনন্দের সংবাদ।

Advertisements

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পাখি পল্লব’ এর সদস্যরা জানান, জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলার চেল্লাখালি, পাগলার মুখ, গজারমারী বিল, খলচন্দা, বাছুর আলগা, চন্দ্রকোনা, নারায়ণখোলা, তাওয়াকুচা, আয়নাপুর, গান্ধিগাঁও, বালিজুরি, বন্দভাটপাড়া, ভীমগঞ্জ, সাপমারী, গড়জড়িপা, মালাকোচা, হাড়িয়াকোনা, বাবলাকোনা, ঘুরুচরণ-দুধনই, লছমণপুর, পাকুরিয়া, উরফা, গণপদ্দি এলাকার খালবিল ও ঝোপ জঙ্গল ঘুরে তারা ৮৯ প্রজাতির পাখির ছবি ধারণ করতে পেড়েছেন এবং আরো বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি দেখতে পেয়েছেন। সেই সঙ্গে তিন প্রজাতির কাঠবিড়ালি, বেশ কয়েক প্রজাতির গিরগিটি, দুই প্রজাতির বানরের সন্ধানও তারা পেয়েছেন। উল্লেখ্য, এ সমস্ত পাখি আগে এ অঞ্চলে অহরহই দেখা যেতো।

সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক