রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকার পক্ষে সিইসি

প্রকাশিত হয়েছে -

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হওয়া উচিত। এ মত তাঁর ব্যক্তিগত বলেও জানান সিইসি।

আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন: সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘অতীতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত। তবে স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন আমরা একেবারেই চাই না।’

Advertisements

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম নুরুল হুদা বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। প্রচার চালাতে দূতাবাসগুলোকেও চিঠি দেওয়া হবে। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। আমাদের সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছে। আমার মনে করি, কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল। এ ব্যাপারে কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী সারা দুনিয়ায় শান্তিরক্ষায় কাজ করছে, বিভিন্ন দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু দেশের নির্বাচনে সেনাবাহিনী কাজ করতে পারবে না! সেনাবাহিনী থাকলে একটি পক্ষের অসুবিধা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন তো তাদের পক্ষ নেওয়া উচিত হবে না। যাদের পক্ষে ভোট দেওয়া সহজ, তারাই তো ভোট দিতে পারছে না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা তা দেখেছি। তাই আগে সহজ ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন, তারপর প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যাবে।’