শেরপুরে ২১ ব্যান্ডেল মাধ্যমিকের বই উদ্ধার করেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুড়া এলাকা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া অবস্থায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির এসব বই উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যোগিনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের নির্দেশে রেজুলেশন ছাড়া মাধ্যমিকের ২০২১বর্ষের সরকারি বই বিক্রির উদ্দেশ্যে ভ্যানগাড়ীযোগে বাজারে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় যোগিনীমুড়া এলাকায় স্থানীয়রা প্রথমে বইসহ গাড়ীটি আটক করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে বইগুলোকে জব্দ করে শিক্ষা অফিসে নিয়ে যায়।
যোগিনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, স্কুলের উন্নয়নের খাতে ব্যয়ের জন্য বইগুলো বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে পাঠাচ্ছিলাম। একটা ভ্যানগাড়ি রাস্তায় আটকে রেখেছে স্থানীয়রা আরেকটা ভ্যান খালি ফিরিয়ে দিয়েছি।
সরকারি বই বিক্রির ব্যাপারে কমিটির কাউকে অবগত বা রেজুলেশন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কাউকে জানানো হয়নি। তবে, আগের রেজুলেশনে আছে পুরাতন বইগুলো বিক্রি করে স্কুলের উন্নয়ন করা যাবে। এজন্য আমি বইগুলো বিক্রির করার উদ্যোগ নিয়েছি, ভেবেছিলাম পরে জানাবো কমিটির সদস্যদের।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি বই বিক্রির ব্যাপারে আমাদের কিছু জানায়নি প্রধান শিক্ষক। বইসহ ভ্যান আটকের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আরেক সদস্য আলমগীর আল আমিন হারুন বলেন, সরকারি কিভাবে কোথায় বিক্রি করছে প্রধান শিক্ষক, তা আমরা জানিনা। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের কিছু জানায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চাঁন মিয়া বলেন, ২০২১ শিক্ষা বর্ষের বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি মোট ২১ ব্যান্ডেল বই ভ্যানসহ জব্দ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বই বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, সরকারি বই বিক্রির তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছি এবং ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছেন। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিবেদন দাখিল করবেন। পরবর্তী যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।