শেরপুরের নকলায় আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত দাবী করে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । আজ দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেছে জেলার নকলা উপজেলার পূর্বলাভা গ্রামের জৈনিক মোকছেদুল ইসলাম।
তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় হামিদুল ইসলামের যোগসাজসে একটি নারী নির্যাতন মামলায় তার ছোট ভাই এনামূল হক শ্যামলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছেড়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে নকলা থানার এস আই আব্দুস সাত্তার।
পরে টাকা দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে তার ভাই শ্যামল পালিয়ে গেলে পুলিশ আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়ে পরবর্তীতে বাড়ীতে গিয়ে ঘরে থাকা ৯ ভরি স্বর্ণ ও ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আসে আমার ভাই শ্যামলের ৪ বছরের কন্যা ও ১ বছরের ছেলে তার স্ত্রীসহ ৮জনকে আটক করে।
পরে ৩৫জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪০/৫০ অজ্ঞাত বিরুদ্ধে পুলিশী কাজে বাধাপ্রদান করে আসামী ছিনতায়ের মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করে। বর্তমানে গ্রামের প্রায় সবাই বাড়ীঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় গ্রামটি এখন জনশুন্য হয়ে পড়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত দাবী করছি।
এব্যাপারে মুঠোফোনে এস আই সাত্তারের বক্তব্য নিতে ফোন করা হলে তিনি ব্যাস্ত আছেন বলে জানিয়ে পরে কথা বলতে বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
যদিও এব্যপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলমগীর হোসেন শাহ বলেন, সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো করা হয়েছে তা সব মিথ্যা বানোয়াট। বরং তারা আসামী ছিনাতাইয়ের ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলছে।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দায়িত্বরত ৪ পুলিশকে আহত করে আসামী ছিনতাই করা হয়েছে। এছাড়া যারা নির্দোষ তাদের আতঙ্ক হওয়ার কোন কারণ নাই। যারা নির্দোষ তাদেরকে কোন পুলিশী হয়রানী করা হবে না।