জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছিলেন, সাংগঠনিক ভিত মজবুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে সংগঠনকে গড়ে তুলেছিলেন সেই ভিত্তিকে থিউরি করে আজকের সাভারের আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছে মঞ্জুরুল আলম রাজীব।
দলকে উজ্জীবিত রাখতে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব। রাজীবের গতিশীল নেতৃত্বে সাভারে আজ আওয়ামিলীগ সংগঠিত। তার সাংগঠনিক কর্মদক্ষতার প্রশংসা করেছেন আওয়ামী লীগের কান্ডারীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রাণবন্ত করে তুলেছে তিনি। অপশক্তি আন্দোলনের চেষ্টা করলে রাজপথেই তার জবাব দিতেও এক পাও পিছপা হয়নি তার নেতৃত্বে থাকা নেতাকর্মীরা।
তরুণ নেতাদের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত রেখেছেন রাজীব। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ মানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মজবুত একটি ঘাটি। এখানে আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াতকে কোনো প্রকার বিধ্বংসী কার্যক্রম করতে দেয়া হয়নি কখনো।
মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন, সাভারবাসীর উন্নয়নের জন্য আমি সব সময় নিয়োজিত। বিপদে আপদে আমার এলাকাবাসীর পাশে থেকেছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে কতিপয় কিছু স্বার্থলোভী মহল আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমি তাদের বলবো, আপনারা সমালোচনা না করে জনগণের জন্য কাজ করুন। আমাকে আমার জনগণ ভালোবেসে এখানে বসিয়েছে। সাভারের জনগণই আমার একমাত্র শক্তি।
যতদিন বাঁচবো সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো। বিএনপি আমলে আমারে পুলিশের পিকাপ ভ্যানের পিছনে বাইন্দা পুরা সাভার ঘুরিয়েছে, রক্তে সারা শরীর ভিজে গেছে আমার তারপরও আমি আওয়ামী-লীগ ছাড়ি নাই। সে সময় বিএনপির নাজমুল হুদা বিএনপিতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে কিন্তু এত নির্যাতন সহ্য করেছি তবুও দল থেকে বের হয়ে যায়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছি। আমি দলের স্বার্থে আমার জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাবো।
তিনি আরও বলেন, আমার সাভারবাসীর জন্য আমার অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমার এলাকাবাসী তার সুফল পাবে।
মঞ্জুরুল আলম রাজীব একাধারে সাবেক ভিপি সাভার কলেজ ছাত্র সংসদ, সাবেক সভাপতি সাভার কলেজ ছাত্রলীগ, সাবেক সভাপতি- সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ। ৭৫ পরবর্তী সময়কালীন এক জনপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা। তিনি ৭ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন।
৭৫ এর কালো অধ্যায়ের পর যখন গুটি কয়েক লোক মুজিব হত্যার বিচার চেয়েছিলেন তখন মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও তার পরিবারের সকলেই সেই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হোন। পিতা প্রবীন সাংবাদিক ওয়াসিলউদ্দিন ছিলেন একজন কলমযোদ্ধা। ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিকামি বাঙ্গালীর পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করায় গান পাউডার দিয়ে তার বসতবাড়ি পুরিয়ে দিয়েছিল পাক হায়নারা। তুখোড় এই ছাত্রনেতা খুব ছোটকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ছিলেন।