
গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী
গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গানের চ্যাম্পিয়ন শারমিন আকতার। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশেও নিতে হতে পারে।
তার জন্য সাহায্যের আবেদনে জানিয়েছেন তার বাবা বাউল শিল্পী হুমায়ুন কবির। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দৈনিক সমকালের অনলাইন সংস্করণ।
ঢামেকে ভর্তির দুদিন আগে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শারমিন। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়। ডেঙ্গু ধরা না পড়লেও জ্বর কমছিল না। পরে সেখান থেকে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। মাঝে দুদিন তার অবস্থার উন্নতি হলেও পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শারমিনের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‘শারমিনের রক্তকোষ ক্রমেই নষ্ট হচ্ছে। তার শরীরে নতুন করে রক্ত উৎপাদন হচ্ছে না বলেই দিনদিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। গত ৯ দিন হাসপাতালের বেডে একই অবস্থায় পড়ে আছে। কোনো উন্নতি হচ্ছে না।’’
অবস্থার উন্নতি না হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে শারমিনের বাবা বলেন, ‘‘ঢাকা মেডিকেলে ওর চিকিৎসার কোনো কমতি হচ্ছে না। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে তো চিকিৎসকদেরও কিছু করার থাকে না। তারপরও আমি আগামী দুই-তিন দিন দেখার পর অবস্থা ভালো না হলে সিঙ্গাপুর বা ভারতে নিয়ে যেতে চাই। তবে আমরা তো বাউল পরিবার। জীবনে টাকার লোভ কখনো ছিলো না। আর্থিক কষ্টও ছিল না। কিন্তু এতো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো তা কে জানতো। বিগত দুই বছর ধরে করোনাভাইরাসের কারণে কোনো শো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে কেউ যদি আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করতে চান আমি তা সাদরে গ্রহণ করব।’’
এছাড়া, মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি জীবনে কিছু চাইনি। তেমন অর্থ বিত্তও নেই। শুধু চেয়েছি আমার মেয়েটা গানের মধ্যে বেঁচে থাকুক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শারমিনের অবস্থার সামান্য অবনতি হলেই তাকে ফেরানো সম্ভব হবে না।’’
রিয়েলিটি শো ‘‘আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গান-২০১৬’’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন শারমিন আকতার। দাদা এবং বাবা দুজনই সংগীতভুবনের মানুষ হওয়ায় গান জিনিসটি তার রক্তেই ছিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় বসবাস করেন ২০ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী।