শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি সীমান্তে বন্যহাতির দল হানা দিয়ে কৃষকের চলতি আমন আবাদের আধাপাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে সোনালী ধানে মাঠ ভরে গেছে। আবার কোন কোন স্থানে ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষক। আর কয় কদিন পরেই ঘরে তুলতে পারবেন সেই সোনালী ফসল। বর্তমানে হাতিরদল কৃষকের ধান খেয়ে সাবাড় করায় ধুলিসাৎ হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০/৬০টি বন্যহাতির পাল গত দুইদিনে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা কালাপানি পাহাড়ি অঞ্চলে তান্ডব চালিয়ে আমন আবাদের ব্যাপক ক্ষতি করে আসছে। ওই এলাকার পাহাড়ি ঢালে কৃষক রমজান আলী দেড় একর জমিতে আমন ধান আবাদ করেন। অনেক কষ্টে ঋণ ধার করে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে তিনি এ ফসল আবাদ করেছিলেন। আর কয়েক দিন পরেই সে ধান গোলায় তুলতে পারতেন। কিন্তু রাতের আঁধারে হাতির দল ধানক্ষেতে নেমে ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণ কৃষাণী ক্ষেতের পাশে এসে হতাশায় ভেঙে পড়েন।
ওই এলাকার কৃষক রমজান আলী, এরশাদ আলম ও মোবারক হোসেন জানান, প্রতি বছর আমন ও বোরো ধান কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে বন্য হাতিরদল তাদের ফসলি জমির ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে। হাতির আক্রমণ থেকে কোনো ভাবেই ঘরবাড়ি কিংবা আবাদী ফসল রক্ষা করতে পাচ্ছেন না পাহাড়বাসী। তাই ফসল রক্ষা করতে এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা। একইসঙ্গে সরকারে কাছে এর স্থায়ী সমাধান চান তারা।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যহাতির পাল শুধু কৃষকের জমিই নয়, আমাদের ইকোপার্কের ভেতরেও প্রবেশ করেছিল। আমরা তাড়িয়ে দিলে রাতে কালাপানি গ্রামের কৃষকের ওই জমিতে গিয়ে তান্ডব চালায়। তিনি আরো বলে, সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বন বিভাগের নিদ্রিষ্ট ফরমে আবেদন করলে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।