শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধ্যে বাতকুচি পলাশীকুড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের উন্নয়নকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ওই মসজিদের জমিদাতা ও স্বজনদের বিরুদ্ধে। উন্নয়নকাজ ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে মুসল্লীদের মাঝে।
জানা গেছে, উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধ্য বাতকুচি পলাশীকুড়া গ্রামে সামাজিক জামে মসজিদের জন্য ১৯৭৬ সালে ২৫ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেন পলাশীকুড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত আবদুল মজিদ। বিআরএস রেকর্ডে ওই ২৫ শতাংশ জমি মসজিদের নামে রেকর্ড করা হয়। সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও উন্নয়নকাজের জন্য সম্প্রতি মসজিদের চারদিকে কাঠগাছ লাগানো কর্মসুচী গ্রহন করে মসজিদ কমিটি। এতে কাঠ গাছ লাগানোর সময় বাধা দেন এবং রাতের আঁধারে লাগানো গাছ উঠিয়ে ফেলেন মসজিদের জমিদাতার ছেলে মাসুদ করিম, ভাই আজিবর, আবদুল কাদির, ভাতিজা নাজমুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম।
জমিদাতার ছেলে মাসুদ করিম গাছ উঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবা মসজিদের নামে ২৫ শতাংশ জমি পুর্ব পশ্চিম কাতে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। কিন্তু মসজিদ কমিটি উত্তর দক্ষিণ কাতে গাছ লাগাচ্ছেন। এজন্য আমরা বাধা দিয়েছি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন ও এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি শমসের আলী, জমির আলী, জহর আলী ও হাবিল উদ্দিন বলেন, আমাদের মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর জমিদাতার ভাই হাবিবুর রহমান ইমামতি করেছেন। গত রমজান মাসে সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর থেকে তারা মসজিদের নানা ধরনের উন্নয়ন কাজে বাধা দিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, দুই পক্ষই বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে খুব দ্রুত সুরাহা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।