বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার নিজেদের বিপদ আঁচ করতে পেরে আবোল তাবোল বকছে। কোনো লাভ হবে না। জনগণের প্রতিরোধের আওয়াজ সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। ক্যাসিনো সরকারের পতন অনিবার্য। এখনো সময় আছে, ব্লেম গেইম বন্ধ করুন।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশে এখন প্রতিদিন ক্ষমতাসীন দলের ছোটখাটো নেতাদের ঘরে অবৈধ টাকার খনি আবিষ্কৃত হচ্ছে। চারদিকে লুটপাট করা টাকার উৎসের কথা মানুষ জানছে। জুয়া, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, লুট করে গড়ে তুলেছে টাকশাল, টাকার পাহাড়।
তিনি আরও বলেন, শুদ্ধি অভিযানে দুর্নীতির ‘রাঘব-বোয়াল’রা ধরা পড়ছে না। দুর্নীতির রাঘব-বোয়ালদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের ধরতে পারলে দেখা যাবে একেক জনের ভাণ্ডারে একেকটি ব্যাংক আছে। আইওয়াশ করার জন্য চুনোপুঁটিতে ধরছে।
সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অভিযান শুরুর পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদসহ মাহবুবুল আলম হানিফ ও সরকারের অনেক মন্ত্রী, নেতা মজ্জাগত স্বভাববশত সব কিছুর দায় চাপাচ্ছেন বিএনপির ওপর। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোই যেন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অভ্যাস। এই কু-অভ্যাসের নীতি নিয়েই তারা এখন মিথ্যা অপপ্রচারের কোরাস গাইছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চিরাচরিত নীতি হচ্ছে তারা কোন বড় কেলেংকারি করে ধরা খাওয়ার পর যখন আর সামাল দিতে পারে না তখন তারা জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে দোষ চাপায় বিএনপির ওপর। তারা ফেঁসে গেলে সব দোষ বিএনপির।
রিজভী বলেন, তথ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়- সরকারের ভেতরে বড় কোনো ঘাপলা রয়েছে, সেই ঘাপলা এখনো উন্মোচিত হয়নি। আওয়ামী চুনোপুঁটিদের ধরে এখন সেটিকে আড়াল করছে। চারিদিকে যখন ছিঃ ছিঃ পড়েছে তখন এটাকে আড়াল করার জন্য তাদের এই কারিগরি, এই কৌশল। দুর্নীতি ও হরিলুটের কুৎসিত চেহারাগুলো বের হয়ে যাওয়াতে তথ্যমন্ত্রী প্রলাপ বকছেন, তিনি এজন্য মিথ্যার শিংগায় ফুঁ দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুল আউয়াল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।