প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেরপুরের নকলার পর লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা ‘সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ (এসএইচআরএস)। সংস্থাটি মনে করে গণমাধ্যম জনগণের মুখপাত্র। সাংবাদিকরা জনগণের পক্ষে ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কাজ করেন। কিন্তু কিছু সরকারি কর্মচারি নিজেদের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে মনে করেন। তারা নিজেদের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার ভয়ে সাংবাদিক দেখলেই ক্ষেপে যান। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আনোয়ার-ই-তাসলিমা এসব কথা জানান।
আনোয়ার-ই-তাসলিমা বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশ সরকার স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তবুও দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক হয়রানির শিকার হচ্ছে। গণমাধ্যম জনগণের মুখপাত্র। সাংবাদিকরা জনগণের পক্ষে ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কাজ করেন। কিন্তু কিছু সরকারি কর্মচারি নিজেদের জবাবদিহির ঊর্ধ্বে মনে করেন। তারা নিজেদের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার ভয়ে সাংবাদিক দেখলেই ক্ষেপে যান। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, হয়রানির বন্ধ করে সরকারকে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন তৈরি করতে হবে। যখনই কোনো সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তখন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, বদলি বা প্রত্যাহার করে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত কর্মচারিদের আইনের আওতায় আনা হয় না। সম্প্রতি শেরপুরের নকলা ও লালমনিরহাটে সাংবাদিক হয়রানি তারই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত। হয়রানি বন্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।