খুন, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িতদের সনাক্তে মোবাইলের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডিন্টিটি) এর সাহায্য নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ এই আইএমইআই নাম্বার মাত্র কয়েক মিনিটে পাল্টে ফেলে একটি চক্র। ফলে অপরাধী শনাক্ত ও হারানো মোবাইল উদ্ধারে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
হরহামেশা এ কাজটিই হচ্ছে চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজারে। সোমবার এই চক্রের এক সদস্যকে রেয়াজউদ্দিন বাজারের রিজুয়ান শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার মোবাইল ভিলেজ নামে একটি দোকান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মো. নাছির উদ্দিন মাহমুদ সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া গ্রামের ডিলারপাড়ার আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে।
মোবাইলের আইএমইআই পাল্টানোতে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ। তার কাছ থেকে ৪৪টি বিভিন্ন ব্রান্ডের চোরাই মোবাইল সেট ও দুটি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ সমকালকে বলেন, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার তদন্তের স্বার্থে অপরাধীদের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আইএমইআই বদলে ফেলা সেট ব্যবহারকারীর স্থান ও নম্বর শনাক্ত করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আইএমইআই পাল্টানো অনেক বড় অপরাধ। একটি চক্র সস্তায় চোরাই মোবাইল সেট কিনে বেশি দামে বিক্রির লোভে প্রতিনিয়ত এ অপরাধটি করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন সমকালকে বলেন, মাত্র তিন মিনিটেই মোবাইলের জন্ম ও বংশ পরিচয় বদলে দিতে পারেন নাছির উদ্দিন মাহমুদ। প্রতিটি মোবাইলেই আইএমইআই নাম্বার থাকে, যাতে মোবাইলটির জন্ম ও পরিচয় বিস্তারিত থাকে। মোবাইল হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হলে আইএমইআই’র মাধ্যমে আমরা তা উদ্ধার করি। কিন্তু নাছিরের মতো কিছু অপরাধী সেই নাম্বারই গায়েব করে দিতেন। ফলে খোয়া যাওয়া মোবাইল আর উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে নাছিরকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে আইএমইআই পাল্টে ফেলে রেয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
সূত্র: সমকাল
শে/টা/বা/জ