একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রদত্ত নতুন মন্ত্রিপরিষদের তালিকা সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
প্রধানমন্ত্রীসহ এবারের মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়াচ্ছে ৪৭ জনে। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ১৯ জনের মধ্যে তিনজন বাদে সবাই নতুন। তিন নতুন মুখ এসেছে তিন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্বে।বিদায়ী সরকারে থাকা ৩০ জনের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি।
বিদায়ী সরকারে না থাকলেও আগে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ছয়জনকে ‘পূর্ণমন্ত্রী’ হিসেবে ফিরিয়ে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা হলেন- মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, এম এ মান্নান, জাহিদ মালেক ও নুরুজ্জামান আহমেদ। গত সরকারের দুই জন প্রতিমন্ত্রীর এবার পদোন্নতি হয়েছে। তারা হলেন- বীর বাহাদুর উ শৈ সিং ও সাইফুজ্জামান চৌধুরী। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হয়েছেন দুই জন। তারা হলেন- স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং মোস্তফা জব্বার। টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী একজন-শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছয় মন্ত্রণালয়
নতুন-পুরনো মিলিয়ে ছয় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রণালয়গুলো হলো- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হলেন যারা- নতুন মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী।
সোমবার শপথ
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা। বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পূর্ণমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়), আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক (কৃষিমন্ত্রী), আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (তথ্য মন্ত্রণালয়), আনিসুল হক (আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ মন্ত্রণালয়), মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়), ডা. দীপু মনি ( শিক্ষা মন্ত্রণালয়), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প মন্ত্রণালয়), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য মন্ত্রণালয়), টিপু মুন্সী (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়), শ ম রেজাউল করিম (গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়), শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়), বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি মন্ত্রণালয়), মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ মন্ত্রণালয়), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান- টেকনোক্র্যাট (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) এবং মোস্তফা জব্বার-টেকনোক্র্যাট (ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়)।
প্রতিমন্ত্রী : কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান), মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ), মোহাম্মদ আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম ও কর্মসংস্থান), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ( নৌ পরিবহন), মোহাম্মদ জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনাইদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি বিভাগ), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়), জাহিদ ফারুক (পানি সম্পদ), মোহাম্মদ মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি বিষয়ক), ডা. মো. এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মোহাম্মদ মাহবুব আলী (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন) এবং শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ- টেকনোক্র্যাট (ধর্ম বিষয়ক)।
উপমন্ত্রী : বেগম হাবিবুন নাহার (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানি সম্পদ) এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী (শিক্ষা)।
সূত্র: দৈনিক জাগরণ।