মার্কিন জনপ্রিয় পপ তারকা টেইলর সুইফট। ২০০৬ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি সংগীত জগতে পা রাখেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুই হাত ভরে পেয়েছেন বড় বড় সব পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তাকে অ্যাওয়ার্ডের রানী বলা হয়। প্রতিনিয়ত পুরোনো রেকর্ড ভেঙে গড়ছেন নতুন সব রেকর্ড। কখনো নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন, আবার কখনো তার গান-অ্যালবাম রেকর্ড গড়েছে।
সম্প্রতি ১২তম গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী তার জনপ্রিয়তা এত বেশি যে, এবার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ‘টেইলর সুইফট অ্যান্ড হার ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি নতুন কোর্স চালু করতে যাচ্ছে। যে কোর্সে টেইলর সুইফটের সংগীত এবং সাংস্কৃতিক প্রভার তুলে ধরা হবে। টেইলর তার কাজ দিয়ে অন্য শিল্পী, লেখক এবং আজকের তরুণদের কীভাবে প্রভাবিত করেছে সেটাও কোর্সটিতে প্রাধান্য পাবে।
প্রফেসর স্টেফানি বার্ট হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ‘টেইলর সুইফট অ্যান্ড হার ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামের একটি কোর্স পড়াবেন। এ ছাড়া ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ও টেইলরের নামে একটি কোর্স চালু করতে যাচ্ছে।
হার্ভার্ড এবং ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম নয় এর আগে বেলজিয়ামের গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি কলেজ অব মিউজিক, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে টেইলরের নামে কোর্স চালু আছে।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় গায়িকার সিনেমা ‘টেইলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর।’ সাড়া জাগানো মিউজিক্যাল ট্যুর নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন স্যাম রেঞ্চ। গত ১৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শুধু অগ্রিম টিকিট বিক্রি থেকেই আয় করেছে ১০ কোটি ডলার। বিশ্বে ৯০টি দেশের ৪ হাজার ১৫০টি ভেন্যুতে প্রদর্শিত হয়েছে এটি। হলিউডের বাইরের বাজার থেকে সিনেমাটি ৩-৫ কোটি ডলার আয় করেছে। আর সিনেমার মোট আয় ১৫-১৭ কোটি ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভ্যারাইটি। ফলে সবচেয়ে বেশি আয় করা কনসার্ট মুভিতে পরিণত হয়েছে ‘টেইলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর’।