ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের এই বাসিন্দার নাম সেলভারানি কানাগারাসু। তার বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই করলেও তিনি এখনো বিয়ে করেননি, বরং একটি ষাঁড়ের পেছনে সময় দিতে চান তিনি। তার এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, প্রায় দুই হাজার বছর ধরে তামিলনাড়ুতে জনপ্রিয় খেলা জাল্লিকাটু (ষাঁড়ের লড়াই)। কানাগারাসুর পরিবার অনেক আগে থেকেই এই খেলার সঙ্গে জড়িত। তাই কিশোরী বয়সেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বাবা ও দাদার মতোই জাল্লিকাটু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন এবং ষাঁড়ের পরিচর্যা চালিয়ে যাবেন।
৪৮ বছর বয়সী কানাগারাসু দেখাশোনা করেন রামু নামের ১৮ বছরের একটি ষাঁড়কে। রামু পাঁচ থেকে সাতটি জাল্লিকাটু উৎসবে জিতে এনেছে স্বর্ণের মূদ্রা ও শাড়ি।
এ বিষয়ে কানাগারাসু জানান, রামু তার ছেলের মতো। জাল্লিকাটু লড়াই জিতে রামু তার পরিবারের সম্মান বাঁচিয়েছে এবং তামিলনাড়ুর ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। জাল্লিকাটু খেলা শুরুর আগে রামু বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তার খাদ্য তালিকায় থাকে নারকেল, খেজুর, কলা, তৈলাক্ত এক ধরনের পিঠা, ভাত ও গম। এ ছাড়া রামু শরীরচর্চাও করে। এখন পর্যন্ত ষাঁড়টির আয় এক লাখ রুপি।
বিয়ে সম্পর্কে এই নারী জানান, তার বিয়ে নিয়ে শুরুর দিকে পরিবারে হতাশা থাকলেও এখন তারা অনেকটাই মেনে নিয়েছে।
তামিলনাড়ুতে বছরের শুরুতে জাল্লিকাটু উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষেতের ধান তোলার উৎসবকে কেন্দ্র করেই জানুয়ারিতে এই ষাঁড়ের লড়াই হয়ে থাকে। এ অনুষ্ঠানে ষাঁড়ের শিংয়ে পুরস্কার বাঁধা থাকে এবং পুরুষরা ওই ষাঁড়কে তাড়া করে শিং থেকে পুরস্কার ছিনিয়ে নেয়।
জাল্লিকাটু ভারতের প্রাচীনতম খেলাগুলোর মধ্যে একটি। এই খেলায় বিভিন্ন সময় বহু মানুষ হতাহত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। তবে পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।