পালিয়ে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের সন্তানদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের সন্তানরা বিভিন্ন দেশের পালিয়ে আছেন। কিন্তু যেসব দেশে তারা অবস্থান করছেন সেসব দেশের সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় এ দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে আজকের এই দিনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে পাকিস্তানি ঘাতকরা, যার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের পুনর্গঠন বাধাগ্রস্ত করা। আর তাদের সহযোগিতা করে এদেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা।
সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। কারাবন্দি আছেন অনেকে। এছাড়া স্বাধীনতায় বিরোধীতা করা অনেকে বিদেশে পালিয়ে আছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার-আলবদররা মিলে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। যেসব দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাইনি তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছে রাজাকার-আলবদররা। তারাই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। এখনো যারা দেশের বাইরে পালিয়ে রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সেখানে পালিয়ে রয়েছে সেসব রাষ্ট্র থেকে সহযোগিতা না করায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ চলছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে রাজাকার-আলবদরদের হাতে নিহত হওয়া সব শহীদদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
#ঢাকাটাইমস