গুঞ্জনটা অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলবেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন হামজার সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছে। লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে হলে সবার আগে পাসপোর্ট করতে হবে।
লন্ডনে বাংলাদেশি হাইকমিশনে গিয়েও পাসপোর্ট করতে না পারায় অসন্তুষ্ট হন হামজা ও তার বাংলাদেশি মা রাফিয়া। পাসপোর্ট না করেই নটিংহামে চলে যান তারা। পাসপোর্ট করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়া হামজার পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে বাফুফে।
আগামী সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তুষার বলেন, ‘আপনারা জানেন, ইতোমধ্যেই আমাদের জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান (কাজী নাবিল) ইংল্যন্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর রাষ্ট্রদূত নিজে হামজার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। হামজার পরিবার যখন দূতাবাসে যাবেন তখন তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে রয়েছি। কাগজ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। যেন দ্রুত তিনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। ’
‘আমরা ইতোমধ্যেই জামাল, তারিক কাজী, এলিটাকে নিয়ে কাজ করেছি। পাসপোর্ট হওয়ার পরের পদক্ষেপ নিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। হামজার একটা সুবিধা হচ্ছে তার মা বাংলাদেশি। ফলে তার ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য তার আবেদন করতে হবে। এরপর তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন। আমরা ইতোমধ্যে সেই কাজও এগিয়ে রাখছি। আগামী সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোকে লক্ষ্য করেই কাজ করছি। আশা করছি, সেই উইন্ডোতে হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন। ’
সাম্প্রতিক সময়ে গুঞ্জন উঠেছে মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান, তবে তাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। তবে ইতোমেধ্যেই দিয়াবাতেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বাফুফে, এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘দিয়াবাতের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। তার কাছ থেকে আমাদের কিছু বিষয় জানার ছিল। যেমন এলিটার পাসপোর্ট নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে হ্যান্ডওভার করে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিতে হয়েছে। সে (দিয়াবাতে) জানিয়েছেন যে তিনি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তার সনদের জন্য। কারণ ফিফার নিয়মানুযায়ি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দুই ফুটবলারের জন্যই কাজ করছি আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভালো খবর দিতে পারব। ’
দেশের ফুটবলের আরেক বড় নাম বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো। তিনিও বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তাকেও দেশের হয়ে খেলানোর জন্য চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘রবসনকে নিয়ে আসলে আরও একটু সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ আগামী মৌসুমে তার পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। তখন তার ইচ্ছা থাকলে আমরা তাকে নিয়েও কাজ করব। ’