ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর শাহরিয়ারকে স্বপদে থেকে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ঘুষ আদান-প্রদানকারী দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
আড়ংয়ের ঘটনা উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোজার সময় যদিও আমি দেশের বাইরে ছিলাম, তখনো বেশ কিছু বড় বড় জায়গায় হাত দিল বলে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হঠাৎ একটা ব্যবস্থা নেয়া হলো। আমার কাছে সেটা মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছোট-খাটোদের ধরতে পারবে, আর বড় অর্থশালী সম্পদশালী হলেই তাদের হাত দেয়া যাবে না, তাদের অপরাধ অপরাধ না-এটাতো হয় না।’
অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অপরাধী সে অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এমন বড় বড় জায়গা আছে যেখানে হাত দিলেই দেখা যায় হাতটা পুড়ে যাচ্ছে এবং যারা এই কাজটি করতে যায় তারা অপরাধী হয়ে যায়।’
দুর্নীতি দমন সংস্থার মধ্যে অনেকেই দুর্নীতিব্যাধিতে আক্রান্ত বলে জনশ্রুতি আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একেবারেই মিথ্যা না। সবাইতো ধোয়া তুলসীপাতা না। আর এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না যে সবাই একশভাগ ভাগ সৎ হবে।’
বেগম রওশন আরা মান্নানের (নারী আসন-৪৭) অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতি আমরা করব না, করতে দেয়া হবে না। ঘুষ যে গ্রহণ করবে ঘুষ যে দেবে উভয় অপরাধী। শুধু ঘুষ নিলে যে তাকে ধরা হবে তা না, যে দেবে তাকেও ধরা হবে। কারণ দেয়াও অপরাধ। সেভাবেই কিন্তু বিচার হবে। অপরাধে উস্কানিদাতা, মদদদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে চাই। সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সকল সংসদের সহযোগিতা কামনা করি। এই ব্যাপারে সবাই যদি এক হয়ে কাজ করি তাহলে অবশ্যই সমাজ থেকে অনিয়মগুলো দূর করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারব।’